ঢাকা: মাঠে আসা দর্শকরা খানিকটা যেন ক্ষুব্ধ ঐতিহ্যবাহীদের ম্যাচের চেহারা দেখে। মোহামেডান-আবাহনী ম্যাচ মানেই উত্তেজনা, ম্যাচ মানেই মারামারি।
কিন্তু নামের প্রতি সুবিচার করতে ব্যর্থ দুই দল। ফলে মর্যাদার লড়াইয়ে ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র’র পথেই পা বাড়িয়েছে।
এর ফলে লিগের তৃতীয় স্থানের জন্য লড়াইটা খানিকটা জমজমাট হয়েছে। দিনের প্রথম ম্যাচে শেখ রাসেল-রহমতগঞ্জ ম্যাচে জয় পেয়েছে মারুফুল হকের শিষ্যরা। তাই চলমান লিগে ২০ ম্যাচে ৪২ পয়েন্ট নিয়ে রানার্সআপ হয়েছে শেখ রাসেল। আর দিনের দ্বিতীয় ম্যাচ ড্র হওয়ার ফলে ঢাকা আবাহনী আর মোহামেডানের মধ্যে তৃতীয় স্থানের লড়াই হবে। কারণ ২০ ম্যাচে মোহামেডানের সংগ্রহ ৩৮ পয়েণ্ট। আর ১৯ ম্যাচে আবাহনীর সংগ্রহ ৩৫ পয়েন্ট। তাই নিজেদের শেষ ম্যাচে (২০ আগস্ট) আবাহনী যদি লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন শেখ জামালকে পরাজিত করে তাহলে তৃতীয় হবে আবাহনীই। আর যদি পরাজিত হয় তবে মোহামেডান তৃতীয় স্থান অর্জন করবে।
ম্যাচের প্রথমার্ধ ছিল গোলশূন্য। ৩ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড সানডে সিজোবার শট জালে জড়ায়নি। ১৪ মিনিটে দারুণ এক সুযোগ হাতছাড়া হয় মোহামেডানের। ডানপ্রান্ত থেকে মাসুক মিয়া জনির ক্রসে হেড করেন জুয়েল রানা। কিন্তু বল খুঁজে পায়নি জালের ঠিকানা। এছাড়া ১১ মিনিটে মোহামেডানের হাবিবুর রহমান সোহাগের ফ্রি-কিক সহজেই তালুবন্দি করেছেন আবাহনীর গোলরক্ষক।
তবে দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা লড়াই হয়। প্রথম সুযোগ এসেছিল আবাহনীর। ৫১ মিনিটে মোহামেডানের ইব্রাহিম বল নিয়ে বক্সে ঢুকে জোরালো শট নিলেও গোলরক্ষক জিয়াউর রহমান দক্ষতার সঙ্গেই আটকে দেয়।
৫২ মিনিটে সোহাগের ফ্রি-কিকে বাঙ্গুরা হেড নিলেও তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৬৬ মিনিটে আরেকটি সুযোগ সৃষ্টি করে আকাশী জার্সীধারীরা। বক্সেও মধ্যে বল পেয়ে আবদু ডার্বো হেড নিলেও সাইডপোস্ট ঘেঁষে বল চলে যায় মাঠের বাইরে।
৭০ মিনিটে ডানপ্রান্ত দিয়ে বক্সে থাকা একাধিক সতীর্থকে উদ্দেশ্য করে বল দেন ডিফেন্ডার নাসির। কিন্তু বক্সে সাদা-কালোদের ডিফেন্ডাররা সে প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেয়। এরপর সময়টুকু তাই কোন গোল নয়, কোন বিপদ নয়। ফলে গোলশূন্য ড্র হয় ম্যাচটি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৬ ঘণ্টা, ১৬ আগস্ট ২০১৫
ইয়া/এমআর