ঢাকা: সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে বাংলাদেশের কিশোররা মাঠে নামবে। সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে বিকেল পাঁচটায় বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারতের বিপক্ষে ফাইনাল খেলবে লাল-সবুজের জার্সিধারীরা।
ভারতকে গ্রুপপর্বের ম্যাচে ২-১ গোলে হারিয়েছিল বাংলাদেশের ক্ষুদে ফুটবলাররা। তাই ফাইনালেও ভারতকে হারিয়ে প্রথম বারের মতো সাফের শিরোপা নিজেদের করে নিতে চায় গোলাম জিলানীর শিষ্যরা।
খেলাটি সরাসরি সম্প্রচার করবে বাংলাদেশ টেলিভিশন। এছাড়া ধারাবিবরণী সম্প্রচার করবে বাংলাদেশ বেতার সিলেট কেন্দ্র।
সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের গত দুটি আসর অনুষ্ঠিত হয়েছিল নেপালে। দুটি আসরেই বাংলাদেশের কিশোররা সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে পড়ে। ২০১১ সালে প্রথম আসরে ছয় দলের মধ্যে চতুর্থ হয়েছিল বাংলাদেশ। পরের আসরে (২০১৩ সালে) সাত দলের মধ্যে তৃতীয় হয়েছিল বাংলাদেশের কিশোররা।
এক যুগ আগে সাফের চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। ২০০৩ সালের পর সাফের আরেকটি শিরোপা এনে দিতে প্রস্তুত অনূর্ধ্ব-১৬’র ফুটবলাররা।
ফাইনালের আগে নির্ভার স্বাগতিকরা। ছয় দিনে টানা তিন ম্যাচ খেলে ক্লান্ত নয় তারা। অধিনায়ক শাওনের চোখে-মুখে রয়েছে আত্মবিশ্বাসের চিহ্ন। তিনি জানিয়েছেন, জয় নিয়েই আমরা মাঠ ছাড়তে চাই। আমাদের লক্ষ্য ছিল সব ক’টি ম্যাচে জয় নিয়ে ফাইনালে উঠা। আমাদের লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। দলের খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাসের ফলেই তা সম্ভব হয়েছে। এখন আমাদের লক্ষ্য ফাইনালের শিরোপা জয়। ইনশাল্লাহ আমরা চ্যাম্পিয়ন হবো।
গ্রপপর্বের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ। বাংলাদেশের হয়ে জোড়া গোল করেন সারোয়ার জামান নিপু। এছাড়া বাকী দুটি গোল করেন আবেদিন রাকিব ও আতিক। পরের ম্যাচে ভারতকেও হারায় বাংলাদেশ। ২-১ গোলের জয়ে স্বাগতিকদের হয়ে গোল করেন শাওন আর আতিক।
'এ' গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালে মাঠে নামে স্বাগতিকরা। সেমিতে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ আফগানিস্তানকে ১-০ গোলে হারায় লাল-সবুজরা। দলের হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন সাদ।
টানা দুই ম্যাচে হলুদ কার্ড পাওয়ায় নির্ভরযোগ্য স্ট্রাইকার নিপুকে আজ পাওয়া যাবে না। নিপুর জায়গায় রনি বা মিরাজের খেলার সম্ভাবনা আছে।
টানা তিন ম্যাচ জিতে দাপটের সঙ্গে ফাইনালে উঠে বাংলাদেশ।
ফাইনালে আবারো সেই ভারত। ২০১৩ সালে গ্রুপপর্বে ভারত জিতেছিল ২-০ গোলে। চলমান আসরের গ্রুপপর্বে ২-১ গোলে জিতে তার প্রতিশোধ নেয় বাংলাদেশ। ভারতকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন পূরণের জন্য প্রস্তুত সাদ-আতিক-শাওনরা। আর তারা একসাথে জ্বলে উঠলে দিনটা যে বাংলাদেশেরই হবে সেটা দেখার অপেক্ষায় পুরো দেশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৯ ঘণ্টা, ১৮ আগস্ট ২০১৫
এমআর