ঢাকা: স্প্যানিশ সুপার কাপের শিরোপা হাতছাড়া হওয়ায় বার্সেলোনার হেক্সা জয়ের স্বপ্নটাও ভেস্তে গেল। অন্যদিকে, পেপ গার্দিওলার কীর্তির পুনরাবৃত্তি ঘটাতেও ব্যর্থ হয়েছেন লুইস এনরিক।
২০০৮-০৯ মৌসুমে বার্সার কোচের দায়িত্ব নিয়েই বাজিমাত করেন গার্দিওলা। তার অধীনে এক বছরে রেকর্ড ছয়টি শিরোপা ঘরে তোলে কাতালানরা। চলতি বছর এনরিকের বার্সাও সে পথেই হাঁটছিল। কিন্তু, বাদ সাধে অ্যাথলেতিক বিলবাও। টানা চারটি শিরোপা জিতে উড়তে থাকা বার্সা বিলবাওয়ের কাছে এসে ধরা পড়ে।
লা লিগা, কোপা দেল রে, চ্যাম্পিয়নস লিগ ও উয়েফা সুপার কাপ চারটি আসরেই বার্সার জয়জয়কার। স্প্যানিশ সুপার কাপ ও ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ জিতলেই কাতালানদের হেক্সা জয় নিশ্চিত হতো। গার্দিওলার পাশে নাম লেখাতে পারতেন এনরিক। কিন্তু, সে আশাই এখন গুড়েবালি।
বিলবাওয়ের মাঠেই লা লিগা চ্যাম্পিয়নদের স্বপ্নভঙ্গ হয়। স্প্যানিশ সুপার কাপের প্রথম লেগে বার্সাকে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করে কোপা দেল রের রানার্সআপরা। ন্যু ক্যাম্পে ফিরতি পর্বের ম্যাচ হওয়াতেই খানিকটা সম্ভাবনা ছিল। তবে নিজেদের মাঠেও ব্যর্থতার পরিচয় দেয় মেসি-ইনিয়েস্তা-সুয়ারেজরা। ১-১ গোলে ড্র করে শিরোপা উল্লাসে মাতে বিলবাও।
ম্যাচের ৫৬ মিনিটে ডিফেন্ডার জেরার্ড পিকে লাল কার্ড দেখায় কাতালানদের শেষ আশাটুকুও হাওয়ায় মিলিয়ে যায়। ১-০ গোলে এগিয়ে থাকা বার্সার দরকার আরো তিন গোল। তবেই খেলা গড়াতো অতিরিক্ত সময়ে। কিন্তু, দশজনের দলে পরিণত হওয়ায় তা আর হয়ে উঠেনি। উল্টো ৭৪ মিনিটে বার্সার জালে বল পাঠান প্রথম লেগের হ্যাটট্রিক ম্যান আদুরিজ।
তাহলে কী পিকে বলির পাঠা হবেন? বার্সা কোচ এনরিক কিন্তু পিকের লাল কার্ড দেখাকেই বড় করে দেখছেন। ‘আমি মনে করি, আমরা বেশ ভালোই খেলেছি। প্রথম লেগে বড় ব্যবধানে হারলেও নিজেদের মাঠে ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব ছিল। তবে পিকে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়ার মধ্য দিয়েই সব শেষ হয়ে যায়। ’
হেক্সা মিশনে ব্যর্থ হওয়া বার্সার সামনে আরেকটি শিরোপার হাতছানি রয়েছে। ডিসেম্বরে জাপানে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের মিশনে নামবে এনরিকের শিষ্যরা। প্রতি বছর চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ী দল মর্যাদাপূর্ণ এ আসরে অংশ নেয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৫
আরএম