ঢাকা: ব্রাজিলের হয়ে রোনালদো ও রোনালদিনহোর ক্যারিয়ারটা সফলতায় মোড়ানো। দুজনই সেলেকাওদের হয়ে বিশ্বকাপ ট্রফি ছুঁয়েছেন।
ফিরমিনো ও কুতিনহো দুজনেরই বয়স এখন ২৩। দুজনই মিডফিল্ডার। খেলেন একই ক্লাব লিভারপুলের হয়ে। ব্রাজিলিয়ান সেনসেশন নেইমারও তাদের বয়সী। সব মিলিয়ে ব্রাজিল দলের বেশির ভাগ খেলোয়াড়ই উঠতি তারকা। এদের মধ্যে কেউই কী রোনালদো-রোনালদিনহোর মতো হতে পারবেন না? ফিরমিনো কথা দিচ্ছেন, তিনি ও কুতিনহো মিলে সাবেক দুই কিংবদন্তির অবদানের পুনরাবৃত্তি ঘটাবেন।
এ মৌসুমেই জার্মান ক্লাব হফেনহেইম থেকে লিভারপুলে পাড়ি জমিয়েছেন ফিরমিনো। দু’বছর আগ থেকে অল রেডসদের হয়ে খেলছেন কুতিনহো। ২০১০ সালের অক্টোবরে ব্রাজিল দলে কুতিনহোর অভিষেক ঘটে। কিন্তু, এখন পর্যন্ত তিনি সেলেকাওদের হয়ে মাত্র ১১টি ম্যাচে মাঠে নেমেছেন।
অন্যদিকে, গত বছরের নভেম্বরে হুলদ জার্সিতে ফিরমিনোর অভিষেক ঘটে। এরই মধ্যে ১০টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন ২৩ বছর বয়সী এ অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার। বিশেষ করে, চিলিতে অনুষ্ঠিত কোপা আমেরিকায় নজরকাড়া পারফরম্যান্সই তাকে উঠতি তারকার খ্যাতি এনে দেয়।
এক সাক্ষাৎকারে ফিরমিনো বলেন, ‘রোনালদো বা রোনালদিনহোর মতো হওয়াটা যে কারও জন্যই কঠিন। তবে কুতিনহো ও আমি সেরাটা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। তারা দুজন ব্রাজিলের ফুটবলে যে অবদান রেখেছেন আমরা দুজন সেটিরই পুনরাবৃত্তি ঘটাতে চাই। আশা করছি আমরা দুজনও ব্রাজিলের সেরা খেলোয়াড় হতে পারব। ’
জাতীয় দলের পাশাপাশি ক্লাব সতীর্থ হওয়ায় কুতিনহোর সঙ্গে ফিরমিনোর বোঝাপড়াটাও দারুণ হচ্ছে। ‘কুতিনহোর সঙ্গে একসঙ্গে খেলতে পেরে আমি খুবই খুশি। আশা করছি, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমরা আরো পরিণত হবো এবং ব্রাজিল ফুটবলে কিংবদন্তিদের আদলেই অবদান রাখতে পারব। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৫
আরএম