ঢাকা: দলবদলের বাজারে পছন্দের খেলোয়াড়কে পেতে আকাশছোঁয়া দর হাঁকাতেও কার্পণ্য করছে না নামী-দামি ক্লাবগুলো। দু’বছর আগে রেকর্ড ১০০ মিলিয়ান ইউরোর বিনিময়ে টটেনহাম ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেন গ্যারেথ বেল।
অনেক ফুটবল বোদ্ধা আছেন যারা অস্বাভাবিক ট্রান্সফার ফি’র পক্ষপাতী নন। এবার এ কাতারে যোগ দিয়েছেন বায়ার্ন মিউনিখের চিলিয়ান তারকা আর্তুরো ভিদাল।
এ মৌসুমেই জুভেন্টাস ছেড়ে ৪০ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে চার বছরের চুক্তিতে বায়ার্নে যোগ দেন ভিদাল। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় চু্ক্তির আর্থিক মূল্যটা খুব বেশি বলা যাবে না। কারণ, ইউরোপের শীর্ষস্থানীয় ক্লাবগুলো এখন একজন খেলোয়াড় কিনতে এর দ্বিগুন পরিমান অর্থ ব্যয় করতেও দ্বিতীয়বার চিন্তা করছে না।
অতিরিক্ত ট্রান্সফার ফি নিয়েই আপত্তি তোলেন ভিদাল। ‘পছন্দের খেলোয়াড় কেনার জন্য ক্লাবগুলো অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করছে। এটির নেতিবাচক দিকও আছে। বড় অঙ্কের বিনিময়ে নতুন ক্লাবে যোগ দেওয়া খেলোয়াড়রা সব সময় চাপের মধ্যে থাকেন। এমন অবস্থা দাঁড়ায় যে, প্রতি ম্যাচেই তাদের তিন-চারটি গোল করতেই হবে। ’
চিলিয়ান মিডফিল্ডার উল্লেখ করেন, ‘বতর্মানে ট্রান্সফার ফি’র অঙ্কটা সত্যিই অস্বাভাবিক। এতে সামঞ্জস্য আনা জরুরি। একজন খেলোয়াড় বিশাল অঙ্কের বিনিময়ে ক্লাব পরিবর্তন করলে তার ওপর প্রত্যাশার মাত্রাটাও বেড়ে যায়। এতে করে অতিরিক্ত চাপের কারণে পারফরম্যান্সেও বাজে প্রভাব পড়ে। প্রতি ম্যাচেই তো আর প্রত্যাশা অনুযায়ী খেলা সম্ভব নয়। ’
উল্লেখ্য, শনিবার (২৯ আগস্ট) বুন্সেসলিগার ম্যাচে সাবেক ক্লাব বায়ার লেভারকুসেনের মুখোমুখি হবেন ভিদাল। ২০১১ সালে জুভেন্টাসে যোগ দেওয়ার আগে তিনি এ ক্লাবের হয়ে চার মৌসুম খেলেছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১৫
আরএম