ঢাকা: দু’জন দুই ভুবনের বাসিন্দা। একজন জ্যামাইকান আর অন্যজন আর্জেন্টাইন।
দুই বিশ্বসেরাকে একই দিন বিশ্ববাসী দেখলো মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে। বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) বেইজিংয়ের বার্ড নেস্টের দর্শকরা দেখেছে কি করে ২০০ মিটারে নিজের শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ রাখলেন উসাইন বোল্ট আর মোনাকোতে অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ড্র অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিশ্ববাসী জেনেছে কি করে লিওনেল মেসি নিজেকে ইউরোপ সেরা করলেন।
নিজের প্রিয় ইভেন্ট ২০০ মিটারে দৌড়ে বোল্ট ১৯.৫৫ সেকেন্ড সময় নিয়ে স্বর্ণ জিতেছেন। ১৯.৭৪ সেকেন্ড সময় নিয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন বোল্টের প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী জাস্টিন গ্যাটলিন। আর ১৯.৮৭ সেকেন্ড নিয়ে তৃতীয় হয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার আনাসকো জবোদওয়ানা। একই দিনে আবারো উয়েফার বর্ষসেরার পুরস্কার পান আর্জেন্টাইন সুপারস্টার মেসি। এ ট্রফি জিততে মেসিকে লড়তে হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদের পর্তুগিজ তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো আর বার্সা সতীর্থ উরুগুয়ের তারকা লুইস সুয়ারেজের বিপক্ষে। গত দুই বছর মেসিকে টপকে ফিফা বর্ষসেরার পুরস্কার জিতেছিলেন রোনালদো।
বার্সার ট্রেবল জয়ী কোচ লুইস এনরিক বোল্ট আর মেসিকে একই কাতারে রেখেছেন। তিনি জানান, সর্বকালের সেরা ফুটবলার যদি মেসি হন, তাহলে সর্বকালের সেরা স্প্রিন্টার হচ্ছেন বোল্ট।
২৯ বছর বয়সী বোল্ট আর ২৮ বছর বয়সী মেসির প্রসঙ্গে কাতালান কোচ বলেন, আপনারা মেসি এবং বোল্টের মধ্যে দারুণ মিল খুঁজে পাবেন। বোল্ট গতির জগতে সর্বকালের সেরা স্প্রিন্টার। আর মেসি সর্বকালের সেরা ফুটবলার। বোল্ট হচ্ছেন অ্যাথলেটিকসের মেসি।
২০০৮ সালের পর থেকে ২০০ মিটারের এই ইভেন্টে বোল্টকে কেউ হারাতে পারেননি। টানা চারবার ২০০ মিটারে স্বর্ণ জিতলেন তিনি। ১০০ ও ২০০ মিটার স্প্রিন্টে এর আগে কেউ টানা তিনবারের বেশি চ্যাম্পিয়ন হতে পারেননি। অপরদিকে ২০১৪-১৫ মৌসুমে উয়েফার ইউরোপের বর্ষসেরা খেলোয়াড় হন চারবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী মেসি। তিনজনের সংক্ষিপ্ত তালিকা থেকে ৫৪ জন সাংবাদিকের ভোটে নির্ধারিত হয় উয়েফা বর্ষসেরার নাম। এ নিয়ে দ্বিতীয়বার ইউরোপের বর্ষসেরা হলেন মেসি। ২০১১ সালেও পুরস্কারটি নিজের করে নিয়েছিলেন আর্জেন্টাইন বর্তমান অধিনায়ক।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৪০ ঘণ্টা, ২৮ আগস্ট ২০১৫
এমআর