ঢাকা: মালয়েশিয়ার শাহ আলম স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। প্রথমার্ধ শেষে গোলশূন্য থাকে দুই দল।
সর্বশেষ প্রকাশিত ফিফা ৠাংকিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ১৭০তম, আর মালয়েশিয়ার অবস্থান ১৬৮তম। ২০১৮ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলের বাছাইপর্বের খেলায় স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামার আগে শনিবার সন্ধ্যায় প্রস্তুতি ম্যাচে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামে বাংলাদেশ।
প্রথমার্ধে ম্যাচের ১৯তম মিনিটে গোলের সম্ভাবনা জাগিয়ে তোলে মালয়েশিয়া। বাংলাদেশের ডি-বক্সের ডানপাশ দিয়ে আক্রমণ চালায় স্বাগিতকরা। লাল-সবুজদের ডিফেন্সে চিড় ধরিয়ে গোলবারে শটও নেন শফিক। তবে, বাংলাদেশের গোলরক্ষকের দারুণ দক্ষতায় এ যাত্রায় রক্ষা পায় অতিথিরা। গোলরক্ষক শহিদুল আলমের হাঁটুতে লেগে বল বাইরে চলে যায়।
খেলার ২৭ মিনিটে জামাল ভূঁইয়া একক প্রচেষ্টায় মালয়েশিয়ার ডি-বক্সে প্রবেশ করে। তবে ডেনমার্ক প্রবাসী জামাল পুরোপুরি বল নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার আগেই তা নিজের গ্লাভসবন্দি করেন স্বাগতিক গোলরক্ষক।
৩২ মিনিটের মাথায় বাংলাদেশের সীমানায় ফ্রি-কিক লাভ করে স্বাগতিকরা। তবে, অতিথিদের শক্ত দেওয়াল ভেদ করে কোনো গোল আদায় করে নিতে পারেনি মালয়েশিয়া। দুই মিনিট পর ফিরতি আক্রমণে যায় বাংলাদেশ। হেমন্ত ভিনসেন্ট বল নিয়ে প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে প্রবেশ করলেও নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যান। ফলে, এবারো কোনো গোল আদায় করতে পারেনি লোডভিক ডি ক্রুইফের শিষ্যরা।
৩৬ মিনিটের মাথায় আবারো মালয়েশিয়া বাংলাদেশের সীমানায় ফ্রি-কিক লাভ করে। ফারহানের সরাসরি জোরালো শট অসাধারণ ভাবে ফিরিয়ে দেন বাংলাদেশের গোলরক্ষক শহিদুল।
প্রথমার্ধের বাকী সময়ে কোনো গোল না হলে গোলশূন্য অবস্থায় বিরতিতে যায় দুই দল।
বিরতির পর মধ্যমাঠেই খেলা গড়াতে থাকে। ৬২ মিনিটের মাথায় মালয়েশিয়ার ফারহানের একটি জোরালো শট রুখে দেন বাংলাদেশের গোলরক্ষক। দুই মিনিট পর ম্যাচের ৬৪ মিনিটের মাথায় স্বাগতিকদের অভিজ্ঞ ফুটবলার আমিরের আরেকটি শট পুরোপুরি ব্যর্থ করে দেন অতিথি গোলরক্ষক। এর আগে ইয়াসিনের দারুণ ডিফেন্সে গোলবঞ্চিত হয় মালয়েশিয়া।
৭২ মিনিটে একটি দলগত আক্রমণ করে বাংলাদেশ। তবে, প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে সতীর্থদের বিলম্বে প্রবেশ করায় সুবিধা আদায় করতে পারেনি কেউ।
ম্যাচের ৭৫ মিনিটের মাথায় সোহেল রানার বদলি হিসেবে ডি ক্রুইফ মাঠে পাঠান এনামুল হককে।
৭৮ মিনিটে বাংলাদেশের ফুটবলাররা উপরে উঠে যাওয়া গোলবার ফাঁকা রেখে বল ক্লিয়ার করতে বক্স থেকে বেরিয়ে আসেন গোলরক্ষক শহিদুল। ফিরতি বলে শট নিলেও মালয়েশিয়াকে আবারো গোল বঞ্চিত করেন পুরো ম্যাচে দারুণ সব সেভ করা শহিদুল।
৮০ মিনিটে দলের শক্তি বাড়াতে বাংলাদেশের কোচ ডি ক্রুইফ হাঁপিয়ে উঠা জামাল ভূঁইয়াকে তুলে নেন। তার বদলি হিসেবে মাঠে নামেন মোনায়েম খান রাজু। পরের মিনিটে তপু বর্মনের দারুণ ডিফেন্সে গোলের দেখা পায়নি স্বাগতিকরা।
৯০ মিনিটের মাথায় শহিদুল এবং জাহিদ হোসেন এমিলি হলুদ কার্ড দেখেন। দ্বিতীয়ার্ধের অতিরিক্ত সময়ে বাংলাদেশের অধিনায়ক মামুনুল ইসলাম মাঠ থেকে উঠে যান। তার বদলি হিসেবে মাঠে নামেন ইমন খান।
ম্যাচ শেষ হওয়ার এক মিনিট আগে মালয়েশিয়ার ৭ নম্বর জার্সি পরিহিত স্ট্রাইকারের বাঁকানো শট রুখে দেন শহিদুল। শেষ মিনিটে জুয়েলের পরিবর্তে তকলিস মাঠে প্রবেশ করেন।
নির্ধারিত সময় শেষে কোনো দল গোল না পেলে ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া।
আগামী ৩ সেপ্টেম্বর পার্থে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বিশ্বকাপ ফুটবলের বাছাইপর্বে অংশ নেবে মামুনুল ইসলামের দল। তার আগেই লোডভিক ডি ক্রুইফের শিষ্যরা নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার সুযোগ পায়।
এর আগে বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া ৮টি ম্যাচে মুখোমুখি হয়। জয়ের পাল্লা অবশ্য হেলে থাকে মালয় বাহিনীর দিকে। তাদের ৬ জয়ের বিপরীতে বাংলাদেশের জয় মাত্র ১টি ম্যাচে। বাকী ম্যাচটি ড্র হয়।
আগামী ৩০ আগষ্ট অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেবে মামুনুলরা।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৭ ঘণ্টা, ২৯ আগস্ট ২০১৫
এমআর
** প্রথমার্ধ শেষে গোলশূন্য বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া
** ‘পূর্ণ আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলবে বাংলাদেশ’