ঢাকা: ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসেবে মৌসুমের শুরুতেই একের পর এক হারের স্বাদ নিচ্ছে চেলসি। এ নিয়ে চার ম্যাচের মধ্যে দুটিতেই হার মানে ব্লুজরা।
স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে চেলসি ও ক্রিস্টাল প্যালেসের কেউই প্রথমার্ধে গোলের দেখা পায়নি। ম্যাচের ৬৫ মিনিটে ফ্রেঞ্চ মিডফিল্ডার বাকারি সাকোর গোলে লিড নেয় ক্রিস্টাল। এর ১৪ মিনিট পর পেদ্রো রদ্রিগেজের পাস থেকে ব্লুজদের সমতায় ফেরান রাদামেল ফ্যালকাও।
তবে দু’মিনিট না যেতেই স্বাগতিকদের হতাশায় ডোবায় ক্রিস্টাল। প্রথম গোলদাতা বাকারির ক্রস থেকে বল জালে জড়ান ইংলিশ ডিফেন্ডার জোয়েল ওয়ার্ড। এরপর আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি ব্লুজরা। রেফারি শেষ বাশি বাজানোর পর মাথা নত করেই মাঠ ছাড়েন ফ্যাব্রিগাস-হ্যাজার্ড-কস্তারা। এ জয়ে পয়েন্ট টেবিলে দুই নম্বরে অবস্থান করছে ক্রিস্টাল।
চেলসির মতো লিভারপুলও ঘরের মাঠে লজ্জাজনক হারের স্বাদ নেয়। অ্যানফিল্ডে খেলার তিন মিনিটেই আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার ম্যানুয়েল লাঞ্জিনির গোলে পিছিয়ে পড়ে অল রেডসরা। ২৯ মিনিটে ওয়েস্ট হামের হয়ে লিড দ্বিগুন করেন ইংলিশ মিডফিল্ডার মার্ক নোবেল। দুই গোলে পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যায় স্বাগতিকরা।
দ্বিতীয়ার্ধের ৫২ মিনিটে ফিলিপ্পে কুতিনহোর লাল কার্ড লিভারপুলের জন্য মরার ওপর খাড়ার ঘা হয়ে দাঁড়ায়। ১০ জনের দলে পরিণত হওয়ায় স্বাগতিকদের ম্যাচের ফেরাটাও কঠিন হয়ে পড়ে। অন্যদিকে, ৭৮ মিনিটে ওয়েস্ট হামের দ্বিতীয় গোলদাতাও লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন।
শেষদিকে ইনজুরি সময়ে লিভারপুলের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন সেনেগালের স্ট্রাইকার ডায়াফরা সাকো। নিজেদের মাঠে বড় ব্যবধানে হেরে হতাশায় নিমজ্জিত হয়েই মাঠ ছাড়ে ব্রেন্ডন রজার্সের শিষ্যরা।
বাংলাদেশ সময়: ০০০৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০১৫
আরএম