ঢাকা: আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে বলিভিয়াকে গোল বন্যায় ভাসালো আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসি, সার্জিও আগুয়েরো ও ইজিকুয়েল লাভেজ্জির জোড়া গোল আর অ্যাঙ্গেল কোরেরার আরো একটি গোলে ৭-০ ব্যবধানে জয় পায় আলবেসেলিস্তারা।
টেক্সাসের হাউজটনে এদিন বলিভিয়ার রক্ষণভাগকে প্রথম থেকেই চাপের মধ্যে রাখে আর্জেন্টাইনরা। এরই সুবাদে খেলার মাত্র ছয় মিনিটেই আগুয়েরোর অ্যাসিস্টে দলের হয়ে লিড নেন লাভেজ্জি।
আক্রমণে ব্যস্ত রাখা প্রতিপক্ষ দলের জালে দ্বিতীয় গোল করেন প্রথম গোলের সহায়তা করা আগুয়েরো। খেলার ৩৪ মিনিটে তার এই গোলে অ্যাসিস্ট করেন রোবের্টো পেরেইরা।
আর প্রথমার্ধের নির্ধারিত সময়ের চার মিনিট আগে নিজের জোড়া গোল পূর্ণ করে দলের তৃতীয় গোলটি করেন লাভেজ্জি। এবারও প্যারিস সেন্ট জার্মেইর এই তারকা গোলে সহায়তা করেন আগুয়েরো। পরে ৩-০ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় ব্রাজিল বিশ্বকাপের ফাইনালিস্টরা।
বিরতির পর আক্রমণের ধার আরো বাড়িয়ে দেয় আর্জেন্টিনা। ম্যাচের ৫৯ মিনিটে দলের চুতর্থ গোলের সঙ্গে নিজের জোড়া গোল পূর্ণ করেন ম্যানচেস্টার সিটি স্ট্রাইকার আগুয়েরো। তার গোলে অ্যাসিস্ট করেন লাভেজ্জি।
এদিকে ম্যাচের ৬৫ মিনিটে গাইতানের পরিবর্তে মাঠে নামে বিশ্ব সেরা স্ট্রাইকার লিওনেল মেসি। আর মাঠে নেমেই ঝলক দেখান চার বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী এ তারকা। দু’মিনিট পরেই দলের পঞ্চম ও নিজের প্রথম গোল করেন এ বার্সেলোনা তারকা। তার এ গোলের যোগানদাতা ছিলেন মিল্টন সাসকো।
একটি গোল করে যেন ক্ষুদা মেটেনি মেসির এদিন মাঠে এসেই দারুণ ব্যস্ত হয়ে পড়েন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। এরই সুবাদে ম্যাচের ৭৫ মিনিটে বিপক্ষ দলের জালে নিজের দ্বিতীয় গোল করে জোড়া পূর্ণ করেন (৬-০)। এবারে তার গোলে সহায়তা করেন পুরো ম্যাচে দুর্দান্ত খেলা সেই আগুয়েরো।
এদিকে ম্যাচের ৮০ মিনিটে আগুয়েরোর পরিবর্তে মাঠে নামেন অভিজ্ঞ স্ট্রাইকার কার্লোস তেভেজ। আর পরের মিনিটে জোড়া গোল করা লাভেজ্জির পরিবর্তে আসেন কোরেরা। আর কোরেরা মাঠে নামার তিন মিনিট পরেই বলিভিয়ার কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন। দলের সপ্তম এ গোলে সহায়তা করেন মাতিয়াস কার্নেভিত্তার।
খেলার বাকি সময় আর কোন গোল না হলে শেষ পর্যন্ত ৭-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে জেরার্ডো মার্টিনোর শিষ্যরা।
বাংলাদেশ সময়: ১০১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৫
এমএমএস