ঢাকা: ফুটবলের প্রায় প্রত্যেকটি রেকর্ডই লিওনেল মেসির পায়ে এসে লুটোপুটি খায়। এবার আরো একটি মাইলফলকের সামনে বার্সেলোনার তারকা এ স্ট্রাইকার।
ইতালিয়ান জায়ান্ট দলটির বিপক্ষে মেসি যেমনই খেলুক না কেন, আঞ্চলিক এ প্রতিযোগিতায় ইতোমধ্যে তিনি নিজের সেরাটা প্রমাণ করেছেন।
২০০৪ সালের ডিসেম্বরে শাখতার দোনেস্কের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগে অভিষেক ম্যাচ খেলেন মেসি। এরপর তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। একে একে টুর্নমেন্টটির ১১টি আসরে অংশ নেন। কাতালান ক্লাবটির হয়ে শিরোপাও জিতেছেন চারবার। এখন পর্যন্ত ৯৯ ম্যাচে সর্বোচ্চ ৭৭টি গোল করেছেন চারবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী। আর তারকা এ ফুটবলারের বয়স কেবল ২৮ হওয়ায় আরো কত গোল তার পাঁ থেকে আসবে তার ধারণার বাইরে।
অভিষেকের প্রায় এক বছর পর আসরটিতে প্রথম গোল পান ফুটবলের এ ক্ষুদে যাদুকর। ২০০৫ সালের নভেম্বরে প্যানাথিনাকোসের বিপক্ষে বার্সার গ্রুপ ম্যাচে ৫-০ ব্যবধানে জয়ের ম্যাচে গোল করেন মেসি। সেবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরবও অর্জন করে স্প্যানিশ জায়ান্ট দলটি।
পেপ গার্দিওলার অধীনে ২০০৮-০৯ মৌসুমে মেসি ১২ ম্যাচে নয়টি গোল করে বার্সাকে আবারো চ্যাম্পিয়নের মুকুট পড়ান। সেবার রোমের স্তেদিও অলিম্পিকোতে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে ফাইনালে জয় পায় বার্সা। ফাইনালে অসাধারণ একটি গোলও করেন মেসি। আর মজার ব্যাপার হচ্ছে নিজের ১০০তম ম্যাচও সেই স্তেদিও অলিম্পিকোতে খেলতে যাচ্ছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।
ইউরোপিয়ান সেরার এই আসরটিতে সর্বোচ্চ ১৫১টি ম্যাচ খেলেছেন বার্সা থেকে অবসর নেওয়া জাভিয়ার হার্নান্দেজ। এক ম্যাচ কম খেলে দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন স্পেন অধিনায়ক ইকার ক্যাসিয়াস। তিনি রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ১৫০টি ম্যাচ খেলেছেন। তবে পর্তুগিজ ক্লাব পোর্তোতে এ মৌসুমে যোগ দেওয়ায় আরো ম্যাচ খেলার সম্ভাবনা রয়েছে ক্যাসিয়াসের। রিয়াল ও শালকে-০৪ এর হয়ে ১৪২টি ম্যাচ খেলে তৃতীয়স্থানে আছেন স্পেনের কিংবদন্তি ফুটবলার রাউল গঞ্জালেস। আর বর্তমান ফুটবলে মেসির সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও রিয়ালের হয়ে এখন পর্যন্ত ১১৫টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচ খেলেছেন। এ টুর্নামেন্টে সর্বাধিক ম্যাচ খেলার দিক দিয়ে শীর্ষ দশে নেই মেসি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৫
এমএমএস