ঢাকা: জাভি হার্নান্দেজ, আন্দ্রে পিরলো, স্টিভেন জেরার্ড, কার্লোস তেভেজ, দিদিয়ের দ্রগবা। তারকা খ্যাতির দিক থেকে কারো চেয়ে কেউ কম নন।
কারণটা আর কিছুই না। পাঁচজনই এ মৌসুমে ইউরোপ ছেড়ে ভিন্ন মহাদেশের ক্লাবে পাড়ি জমিয়েছেন। জাভি বার্সা ছেড়ে কাতারের আল সাদ ক্লাব, পিরলো জুভেন্টাস থেকে আমেরিকার নিউইয়র্ক সিটি, জেরার্ড লিভারপুল ছেড়ে এলএ গ্যালাক্সি, তেভেজ জুভেন্টাস ছেড়ে বোকা জুনিয়র্স ও দ্রগবা চেলসি থেকে কানাডিয়ান সকার ক্লাব মন্ট্রিয়াল ইমপ্যাক্টে যোগ দিয়েছেন। উল্লেখ্য, ইংলিশ লিগে ছয় নম্বরে থেকে গত মৌসুম শেষ করায় চ্যাম্পিয়নস লিগের এবারের আসরে জায়গা হয়নি অল রেডসদের।
গত মৌসুমে জুভেন্টাসকে এক যুগ পর চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে তুলতে পিরলো-তেভেজের অবদান অপরিসীম। মর্যার্দাপূর্ণ এ টুর্নামেন্টে আর্জেন্টাইন তারকা একাই করেন সাত গোল। কিন্তু, শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে বার্সেলোনার বিপক্ষে জুভিদের স্বপ্নভঙ্গ হয়।
বিদায়ী মৌসুমে ট্রেবল জয়ের মধ্য দিয়ে ২৪ বছরের বার্সা অধ্যায়ের ইতি টানেন স্প্যানিশ কিংবদন্তি জাভি। জাভির মতো জেরার্ডও শৈশবের ক্লাব লিভারপুল থেকে বিদায় নেন। অন্যদিকে, প্রত্যাবর্তনের মৌসুম শেষেই চেলসি ছেড়ে কানাডায় পাড়ি জমান দ্রগবা। আইভরিকোস্ট কিংবদন্তির হাত ধরেই ২০১১-১২ মৌসুমে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জেতে ব্লুজরা। এরপরই প্রিয় ক্লাব থেকে বিদায় নেন দ্রগবা। গত মৌসুমেই সাবেক শিষ্যকে দলে ভেড়ান দ্বিতীয় মেয়াদে চেলসির কোচের দায়িত্ব নেওয়া হোসে মরিনহো।
এ পাঁচজনের মধ্যে সর্বোচ্চ চারবার (২০০৫-০৬, ২০০৮-০৯, ২০১০-১১ ও ২০১৪-১৫) চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জেতেন জাভি। একবার করে এ ট্রফি হাতে নেন জেরার্ড (২০০৪-০৫), দ্রগবা (২০১১-১২) ও তেভেজ (২০০৭-০৮)। আর্জেন্টাইন তারকা তেভেজ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে পাড়ি জমিয়ে প্রথম মৌসুমেই এ সাফল্য পান। দুই মৌসুম পর তিনি ম্যানসিটিতে যোগ দিয়ে আরও চার মৌসুম কাটান। ২০১৩ সালে সিটিজেনদের ছেড়ে ইতালিয়ান জায়ান্ট জুভেন্টাসে পাড়ি জমান।
২০০৬ বিশ্বকাপ জিতলেও ইউরোপিয়ান ক্লাব শ্রেষ্ঠত্বের আসরে তিনবার ফাইনালে উঠেও নিরাশ হন পিরলো। এসি মিলানের হয়ে ২০০২-০৩ ও ২০০৬-০৭ মৌসুম আর জুভেন্টাসের হয়ে ক্যারিয়ার সায়াহ্নে এসে গত মৌসুমেও স্বপ্নের ট্রফিটা ছোঁয়া হয়নি ইতালিয়ান কিংবদন্তির।
এছাড়াও আরো অনেক তারকা আছেন যারা চ্যাম্পিয়নস লিগের এবারের আসরে অংশ নিতে পারছেন না। এদের মধ্যে অন্যতম লিভারপুলের ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার ফিলিপ্পে কুতিনহো, ইন্টার মিলানের আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার মাউরো ইকার্দি, এসি মিলানের মারিও বালোতেল্লি, নাপোলির আর্জেন্টাইন তারকা গঞ্জালো হিগুয়েইন ও বুরুশিয়া ডর্টমুন্ডের জার্মান মিডফিল্ডার মার্কো রিউস।
প্রত্যেকের ক্লাবই গত মৌসুম শেষে লিগ টেবিলে পিছিয়ে থাকায় চ্যাম্পিয়নস লিগে উত্তীর্ণ হতে ব্যর্থ হয়। অবশ্য, হিগুয়েইন ও রিউস ইউরোপের আরেকটি মর্যাদাপূর্ণ আসর ইউরোপা লিগে মাঠে নামবেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৫
আরএম