ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

খেলা

জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক কোচ এমএ হাকিমের মৃত্যু

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৫
জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক কোচ এমএ হাকিমের মৃত্যু এমএ হাকিম

জামালপুর: স্বর্ণপদক প্রাপ্ত জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক কোচ এমএ হাকিম বার্ধক্য জনিত কারণে বৃহস্পতিবার ভোরে মৃত্যুবরণ করেছেন (ইন্নালিল্লাহে...... রাজিউন)।
 
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর।

দুই পুত্র এবং চার কন্যা সন্তানের জনক এমএ হাকিম একজন সফল গোলরক্ষক এবং কোচ ছিলেন। বৃহষ্পতিবার দুপুর ২টায় সরিষাবাড়ী রিয়াজ উদ্দিন তালুকদার উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাজা শেষে বাড়ীর পাশেই তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়েছে। আব্দুল হাকিমের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বাংলাদেশ ফুটবলসহ গোটা ক্রীড়াঙ্গনে।

ফুটবলের আতুরঘর ইংল্যান্ডের লন্ডন শহরে ৬ বছরের প্রশিক্ষণে ফুটবলে হাতেখড়ি হয় ‘হাকিম ওস্তাদ’ খ্যাত এ ক্রীড়া বিশেষজ্ঞ, ফুটবলার এবং কোচের। ১৯৪৫ সালে ৩ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী শহরের হোসনীগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। স্বাধীনতা যুদ্ধের পর বাংলাদেশ ফুটবলের প্রথম কোচ হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন সদ্য প্রয়াত হাকিম। পেশাদার ক্যারিয়ারে খেলোয়াড় ও কোচের ভূমিকায় প্রায় ৮০টি দেশে পদচারণা ছিল তার। বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের বাড়তি পুরষ্কার হিসেবে অনেক সম্মাননা পেয়েছেন হাকিম। কিন্তু রাষ্ট্রীয়ভাবে কোনো স্বীকৃতি না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়েই শেষ অবধি তাকে ফিরতে হলো পরকালের দেশে।

এমএ হাকিম ১৯৮৬ সালে জাতীয় ফুটবল দলের (সবুজ) কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং সাফ ফুটবল টুর্নামেন্টে তার শিষ্যরা রানার্সআপ হওয়ার গৌরব অর্জন করে।

এছাড়াও তিনি মোহামেডান, বিজেএমসি, ওয়ান্ডারার্স, ইপিআইডিসি ফুটবল ক্লাবের সফল খেলোয়াড় ছিলেন।

তিনি ছিলেন পাকিস্তান জাতীয় দলের গোলরক্ষক। এশিয়ার সেরা গোলরক্ষক হিসেবে তিনি পরপর তিনবার ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খানের কাছ থেকে স্বর্ণপদক লাভ করেন।

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ফুটবল টুর্নামেন্টে খেলার অভিজ্ঞতাও ছিল তার।

রাজশাহীতে জন্ম নেওয়া সফল খেলোয়াড় এবং কোচ আবদুল হাকিম জামালপুরের সরিষাবাড়ী মূলবাড়ি এলাকার জুরান আলী তালুকদারের বড় মেয়ে জাহানারা বেগমকে বিয়ে করেন। পরবর্তী সময়ে শ্বশুর বাড়ি সরিষাবাড়ীর আরামনগর বাজার এলাকায় ১৯৮৩ সাল থেকে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।

উপজেলার ফুটবল খেলাকে জনপ্রিয় এবং খেলোয়াড় তৈরি করতে নিয়মিত প্রশিক্ষণের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন।

তিনি স্ত্রী, ২ পুত্র, ৩ কন্যাসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। এম এ হাকিমের বড় ছেলে আমেরিকা, ছোট ছেলে ও ৩য় মেয়ে লন্ডনে অবস্থান করছেন। বড় মেয়ে মারা গেছেন। অপর দুই মেয়ের একজন নৌবাহিনীর অফিসার হিসেবে অবসর নিয়েছেন এবং অন্যজন ব্র্যাকের কর্মকর্তা।

জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক কোচ এম এ হাকিমের মৃত্যুতে সরিষাবাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীম, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও জামালপুর পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট শাহ ওয়ারেছ আলী মামুন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজিম উদ্দিন আহমেদ, সরিষাবাড়ী পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ফয়েজুল কবীর তালুকদার শাহীন, সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র শামছুল হক, সরিষাবাড়ী প্রেসক্লাবের সভাপতি সোলায়মান বাবু, সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন এক বিবৃতিতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৫
এসএইচ/এমআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।