ঢাকা: নিঃশ্বাস দূরত্বে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ ২০১৫। আগামী অক্টোবরে চট্টগ্রামে টুর্নামেন্টটি আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করবে।
বোমাটা ফাটিয়েছে কলকতার সংবাদপত্র আনন্দবাজার। এক প্রতিবেদনে ভারতীয় গণমাধ্যমটি জানিয়েছে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিতব্য টুর্নামেন্টে ইস্ট বেঙ্গল অংশগ্রহণ করলেও, করবে না মোহনবাগন। তবে বাফুফে ও আয়োজক চট্টগ্রাম আবাহনীর ফুটবল সংগঠকরা বলছেন অন্য কথা, ‘টুর্ণামেন্টে অংশ না নেয়ার কথা এখনো বলেনি তারা। ’
আয়োজক কমিটির সূত্রমতে আসন্ন টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে ই-মেইলে কিছু শর্তারোপ করেছে মোহনবাগান। পরিবহন, থাকা-খাওয়া সুবিধাদির নিশ্চয়তা চেয়েছে ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি। তাতে অবশ্য ভিন্নমত পোষণ করেনি আসরের আয়োজকরা। এরই মধ্য ‘আনন্দবাজারে’র ওই প্রতিবেদন।
তবে ভারতীয় গণমাধ্যম যাই বলুক না কেন এখনো আশাবাদী টুর্নামেন্টের সমন্বয়ক ও চট্টগ্রাম আবাহনী ম্যানেজার শাকিল মাহমুদ চৌধুরী, ‘তারা (মোহনবাগান) আমাদের ই-মেইলে কিছু শর্তের বিনিময়ে অংশগ্রহণের কথা জানিয়েছে। অথচ গণমাধ্যমে দেখছি অন্য খবর। কিন্তু আমরা আশা হারাইনি। কারণ তারা এখনো অংশগ্রহণে অপারগতার কথা জানায়নি। ’
বাংলাদেশের চারটি ক্লাবসহ মোট ৮ দলের অংশগ্রহণে টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার কথা চট্টগ্রাম এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে। স্বদেশি চার ক্লাব হচ্ছে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব, আবাহনী লিমিটেড, মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেড ও চট্টগ্রাম আবাহনী। আসরে অংশগ্রহণের ইচ্ছে ছিল আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের ঘরোয়া লিগ জয়ী ক্লাবেরও। কিন্তু শেষ অবধি শ্রীলঙ্কার চ্যাম্পিয়ন সলিড স্পোর্টিং ক্লাবকে অগ্রাধীকার দিয়েছে বাফুফে ও আয়োজক কমিটি। টুর্নামেন্টের অন্য দলটি নেপালের লিগ চ্যাম্পিয়ন। কিন্তু দেশটির ঘরোয়া লিগের শিরোপা এখনো অমীমাংশিত থাকায় অপেক্ষা করতে হচ্ছে চ্যাম্পিয়ন দলের জন্য। ৮ দল চূড়ান্ত হওয়ার পরই সূচি ঘোষণা করা হবে।
প্রসঙ্গত, প্রায় ৮ কোটি টাকা বাজেটের এই টুর্নামেন্টের পর্দা উঠবে ২০ অক্টোবর। ১২ দিনব্যাপী আয়োজিত আসরের চ্যাম্পিয়ন পাবে ২৫ হাজার ডলার এবং রানার্সআপের জন্য বরাদ্দ থাকছে ১০ হাজার ডলার।
বাংলাদেশ সময়: ২২৫৫ ঘণ্টা, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৫
আরএসএল/এমআর