ঢাকা: টিম ডাক্তারের সঙ্গে অসদাচরণের দায়ে অভিযুক্ত হলেও শাস্তির আওতায় পড়েননি হোসে মরিনহো। তবে পর্তুগিজ কোচের সমালোচনা করতে ভোলেননি ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েসনের (এফএ) চেয়ারম্যান গ্রেগ ডাইক।
ঘটনার সূত্রপাত গত ০৮ আগস্ট। ইংলিশ লিগে মৌসুমের প্রথম ম্যাচেই সোয়ানসি সিটির বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্র করে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন চেলসি। ঘরের মাঠ স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে খেলা চলাকালীন সময়েই টিম ডাক্তার ইভা কারনেইরোর সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন মরিনহো। সাইড লাইনে চোট আক্রান্ত এডেন হ্যাজার্ডের ট্রিটমেন্টে বিলম্ব হওয়াতেই ক্ষুব্ধ হন চেলসি কোচ। প্রত্যক্ষদর্শী এক সমর্থক এমন দাবিই করেছিলেন।
কিন্তু উক্ত ঘটনার ভিডিও ক্লিপটি পর্যালোচনা শেষে পর্তুগিজ কোচকে কোনো প্রকার শাস্তি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় এফএ। গত বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে তারা এটি নিশ্চিত করে। তবে, ভবিষ্যতে এ ধরণের কর্মকান্ডের জন্য মরিনহোকে কঠিন শাস্তির আওতায় আনারও ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
এফ’র কাউন্সিল সদস্যদের কাছে লেখা চিঠিতে ডাইক উল্লেখ করেন, ‘মরিনহোর আচরণ আমি সমর্থন করি না। কিন্তু, তদন্ত রিপোর্টে এফএ’র বিদ্যমান নিয়ম না ভাঙায় তাকে শাস্তির আওতায় আনা হয়নি। তবে খেলা চলাকালীন সময়ে তার কাছ থেকে এমন আচরণ আশা করিনি। নিশ্চিতভাবেই সে ভুল করেছে। এর জন্য তার ক্ষমা চাওয়া উচিৎ। উক্ত ঘটনার জের ধরেই কারনেইরো চাকরি হারায়। ’
এদিকে, মরিনহোর শাস্তি না হওয়াটা মানতেই পারছেন না ইভা কারনেইরো। তাই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ারও চিন্তাভাবনা করছেন ৪২ বছর বয়সী এ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ। উল্লেখ্য, গত ২২ সেপ্টেম্বর তিনি চেলসির প্রধান টিম ডাক্তারের পদ হারান।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০১৫
আরএম