ঢাকা: লা লিগার ম্যাচে আর্জেন্টিনার তারকা স্ট্রাইকার লিওনেল মেসিকে ছাড়াই সেভিয়ার বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল বার্সেলোনা। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের আতিথ্য দিয়ে সে ম্যাচে জয় তুলে নিয়েছে সেভিয়া।
ম্যাচ শেষে বার্সার সেরা ডিফেন্ডারদের মধ্যে অন্যতম জেরার্ড পিকে জানান, সেভিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে মেসিকে বেশ দারুণ ভাবে মিস করেছে দল।
ম্যাচের ৫২ ও ৫৮ মিনিটে দুই গোল হজম করতে হয় কাতালানদের। তবে, ৭৪ মিনিটে একটি গোল করে ব্যবধান কমান নেইমার।
এ ম্যাচে ছিলেন না বাম হাঁটুর লিগামেন্ট ছিঁড়ে যাওয়া মেসি। চোটের কারণে আরও ছিলেন না মধ্যমাঠের পুরোনো সৈনিক আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা। বার্সার ডিফেন্ডারদের বোকা বানিয়ে গোল আদায় করে নেয় সেভিয়া। মধ্যমাঠে বল দখলের লড়াইয়ে বার্সার সঙ্গে সমান তালে লড়ে যায় স্বাগতিক দলটি। জমে নি নেইমার-সুয়ারেজ-সান্দ্রোর আক্রমণগুলো। তিন ফরোয়ার্ডের বেশ কয়েকটি সুযোগ কাজে লাগেনি। সেভিয়ার গোলবারে লেগে ফিরেছে তিনজনেরই জোরালো শট।
মেসির নেতৃত্বে যে দলটি বিশ্বসেরা আক্রমণভাগ নিয়ে খেলে থাকে, সেভিয়ার বিপক্ষে সে দলটির আক্রমণে কোনো ধার ছিল না। প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে গিয়ে মুখ থুবড়ে পড়তে হয় কাতালানদের। ফলে, পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠার হাতছানি থাকলেও তা ধরতে পারেনি বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
পিকে জানান, আমরা দেশের জার্সি গায়ে খেলতে যাচ্ছি। আশা করি এরপরই বার্সাকে আবারো শীর্ষে ফিরিয়ে আনতে পারব। অবশ্যই আমরা মেসির অভাব দারুণভাবে অনুভব করছি। সঙ্গে ইনিয়েস্তা না থাকায় আমাদের সেভিয়ার বিপক্ষে ভুগতে হয়েছে। কিন্তু এগুলোকে সেভিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ হারার কারণ হিসেবে দাঁড় করাতে চাইনা।
তিনি আরও যোগ করেন, আমাদের নেওয়া শট গুলো যেন সেভিয়ার জালে যেতেই চাচ্ছিল না। পঞ্চম রাউন্ডে আমরা সেল্টাভিগোর বিপক্ষে হেরেছি ৪-১ গোলের ব্যবধানে। সে ম্যাচে মেসি, ইনিয়েস্তা থাকলেও আমরা সেদিন ভালো খেলিনি। মেসি-ইনিয়েস্তাকে ছাড়া সেভিয়ার বিপক্ষে আমরা অন্তত একটি পয়েন্ট অর্জন করতে চেয়েছিলাম।
৭ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে লিগে তিন নম্বরে রয়েছে বার্সেলোনা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৫ ঘণ্টা, ০৪ অক্টোবর ২০১৫
এমআর