বিকেএসপি থেকে ফিরে: বিশ্বসেরা ক্রিকেট অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান, জাতীয় টেস্ট দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম, জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক মামুনুল ইসলাম বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিকেএসপি’র প্রাক্তন ছাত্র। শুধু ফুটবল আর ক্রিকেট নয়, বিভিন্ন খেলায় জাতীয় দলের ৭০ থেকে ৮০ ভাগ খেলোয়াড় এই বিকেএসপি থেকে তৈরি হয়ে এসেছেন।
বিকেএসপি’র ক্যাম্প থেকে জাতীয় দলে ডাক পেয়েছিলেন ক্রিকেটার আব্দুর রাজ্জাক, নাঈম ইসলাম, নাসির হোসেন, এনামুল হক বিজয়, মুমিনুল হক। বিকেএসপি’র নবনিযুক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী মুরতজা খান তাই গর্ব করেই বলতে পারেন, ‘জাতীয় দলের বেশিরভাগ খেলোয়াড়ই আমাদের এখন থেকে যায়। ’
প্রতিষ্ঠানটির ক্রিকেট কোচ মাসুদ হাসান বললেন, ‘এ গর্ব আমার একার নয়, এ গর্ব পুরো বিকেএসপি’র। এখানকার গ্রাউন্ডসের যেসব কর্মচারী বল কুড়িয়ে এনে দেন, তারাও এজন্য গর্ব করতে পারেন। ’
বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব ২০০২ সালে বিকেএসপি’তে ভর্তি হন। সে সময় দেশব্যাপী প্রতিভা অন্বেষণ কার্যক্রমের মাধ্যমে বিকেএসপি খুঁজে পায় টেস্ট, ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টির বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডারকে। এর আগে ২০০০ সালে মুশফিক সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তি হন বিকেএসপি’তে। জাতীয় দলের হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিকেএসপি’র শিক্ষার্থীর তালিকা অনেক লম্বা বলতে হবে। নাইমুর রহমান দুর্জয় থেকে শুরু করে সৌম্য সরকার আর মিঠুন পর্যন্ত সবাই বিকেএসপি’র শিক্ষার্থী।
এখানের কৃতি ক্রিকেটারদের মধ্যে রয়েছেন, কাজী সাজ্জাদ আহমেদ, আল শাহরিয়ার রোকন, এস. এম সাজিদ হাসান, সজল চৌধুরী, সাব্বির খান, মফিজুর রহমান, রাহুল নিয়ামুর রশীদ, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, শাহাদাত হোসেন রাজিব, নাঈম ইসলাম, সোহরাওয়ার্দি শুভ, এনামুল হক বিজয়, মুমিনুল হক, সৌম্য সরকার, এবং মো: মিঠুন।
এর বাইরেও অনেকে আছেন যারা বিকেএসপি’র সরাসরি শিক্ষার্থী না হলেও ক্যাম্পে অংশ নিয়েই জাতীয় দলে জায়গা করে নিয়েছেন।
ক্রীড়াক্ষেত্রে বিকেএসপি’র এই সাফল্যে বর্তমান শিক্ষার্থীরাও উদ্বেলিত। এখানে ক্রিকেট বিভাগে সপ্তম শ্রেণি থেকে স্নাতক (পাস) পর্যন্ত পডালেখা করছে প্রায় পৌনে দু’শ শিক্ষার্থী।
এ্যাথলেটিকস বিভাগের কৃতি খেলোয়াড়দের মধ্যে রয়েছেন বিমল চন্দ্র তরফদার, দেলোয়ার হোসেন, আব্দুল্লাহ হেল কাফি, ফৌজিয়া হুদা জুই, মারুফ রেজা, ইভা, ডলি, মেজবাহ আহমেদ, জাকিয়া সুলতানা।
বক্সিং থেকে বের হয়েছেন আব্দুর রহিম, সুরুজ বাঙ্গালি, জহির উদ্দিন ভূইয়া, ফয়সাল মোল্লা, রিয়াদ হোসেন।
ফুটবলের কৃতি খেলোয়াড়দের মধ্যে রয়েছেন মোঃ মাসুদ রানা, মাসুদুর রহমান, ইমাদুল হক, হাসান আল মামুন, সোহেল আল মাসুদ, এমিলি, জাহিদ, সবুজ, মোস্তাক, রানা এবং মামুনুল।
জিমন্যাস্টিকস বিভাগের কৃতি খেলোয়াড় হিসেবে রয়েছেন আমির আলী।
হকি বিভাগের কৃতি খেলোয়াড়দের মধ্যে রয়েছেন মামুনুর রশিদ, মোঃ আলমগীর আলম, মোঃ জাহিদ হাসান, মোঃ খুরশীদ আলম, আখতার হোসেন, টুটুল কুমার নাগ, মোঃ মাহফুজুল আলম, তুষার কান্তি হাওলাদার, আরিফুল হক, মোঃ মাহবুবুল এহসান রানা, মোঃ আশরাফুল ইসলাম, মোঃ মাকসুদ আলম, মোঃ মাজহারুল ইসলাম, জিমি, চয়ন, জাহিদ, বাপ্পি, সুমন, বিপ্লর, আশরাফুল।
সাঁতার বিভাগের কৃতি খেলোয়াড়দের মধ্যে রয়েছেন মিজানুর রহমান, মোঃ মনিরুজ্জামান, জুয়েল আহমেদ, তানজিল ইসলাম, সামেদুল ইসলাম, ওয়াসিউল ইসলাম, মাহিনুল, সরদার শাহাদাৎ হোসেন, শাহরিয়ার খান, আল মোকতাদির, রত্না খাতুন, মনিরা সুলতানা, ইবনে রুশদ, শাহজাহান আলী, মাহফুজ খাতুন শিলা, টুম্পা, আরিফুল ইসলাম।
শ্যূটিং বিভাগের কৃতি খেলোয়াড়দের মধ্যে রয়েছেন আসিফ হোসেন খান, শারমীন আক্তার, তৃপ্তি দত্ত, আবদুল্লাহ হেল বাকি, শোভন চৌধুরী, ফারহানা কাওসার রনি।
টেনিস বিভাগের কৃতি খেলোয়াড়দের মধ্যে রয়েছেন হেনরী পৃথুল মন্ডল, শেখ মইনুদ্দীন, ওয়ালিউল্লাহ জিলান, মোঃ আবদুল আওয়াল, ঈশিতা, প্রীতি, দেলোয়ার।
আরচ্যারি বিভাগের খেলোয়াড়দের মধ্যে রয়েছেন সজিব শেখ ও তামিমুল ইসলাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৫
এসএ/এমআর