ঢাকা: রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তরুণ ও মধ্যবয়স্কদের একত্রিত করেছে ফুটবল। পেশাদার খেলোয়াড় নন তারা।
সাপ্তাহিক ছুটির দিনের সকালে ব্যাপক জমে ওঠে অপেশাদার ফুটবলারদের ম্যাচ। দেখা যায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ফুটবল খেলতে উদ্যানে এসেছেন পেশাজীবীরাও। পুরান ঢাকার আরমানিটোলো, বংশাল, রহমতগঞ্জ, চকবাজারসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এসে জড়ো হন এসব ফুটবলপ্রেমী।
ফুটবল খেলে ঘাম ঝড়িয়ে সবাই জোট হয়ে বসেন ‘বৃক্ষ মায়া’ নামে এক ছাউনির নিচে। সেখানে বসে চায়ে চুমুক দিতে দিতে শরীর জুড়িয়ে নেওয়ার ফাঁকে ফাঁকে চলে তাদের জম্পেশ আড্ডা। উদ্যানের ভেতর এই ছাউনিটি তৈরি করেছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শরীর চর্চাকারী একটি সংগঠন। তারই নাম ‘বৃক্ষ মায়া’। সংগঠনটির সঙ্গে জড়িতরা সবাই উদ্যানে ছুটির দিনে উদ্যানে এসে ফুটবল খেলেন। তারা শুধু ফুটবল খেলতেই উদ্যানে আসেন না, সঙ্গে পালন করেন আরও সামাজিক দায়িত্ব। মাঠের সংস্কার কাজ করা ও সুবিধাবঞ্চিত ছেলে-মেয়েদের শিক্ষাদান তাদের মূল উদ্দেশ্য।
কথা হচ্ছিল সংগঠনটির সদস্য রফিক উদ্দিনের সঙ্গে। পেশায় ডাক্তার রফিক উদ্দিন বলেন, বৃক্ষ মায়া আলফাজ ভাই পরিচালনা করেন। যারা সকালে শরীরচর্চা করতে আসে তাদের সংগঠিন এটি। মাঠটাকে পরিষ্কার রাখা ও ছাউনিতে বসে বাচ্চাদের পড়াশোনা করানো বৃক্ষ মায়ার কাজ। সাত বছর ধরে যুক্ত আছি সংগঠনটির সঙ্গে।
চা-পর্ব শেষে বাসায় ফিরে নাস্তা করে প্রত্যুষের ফুটবলাররা নেমে পড়েন যার যার কর্মযজ্ঞে। সকালের ফুটবল তাদের শরীর ও মনে প্রশান্তি এনে দেয়। প্রশান্তি বয়ে বেড়ান পুরো দিনজুড়ে। খেলাধুলা ও শরীরচর্চা নিয়ে ডা. রফিক উদ্দিন বলেন, খেলাধুলা কিংবা শরীরচর্চা আপনাকে করতেই হবে। ব্যায়াম যদি আপনি না করেন শরীরে কোলেস্টরেল জমে যাবে। অনেক উপকারিতা আছে ব্যায়াম ও খেলাধুলার। এটা করলে রক্তে ক্লট হয় না।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে নতুনদের এখানে যোগ দেওয়ার আহবানও জানালেন রফিক উদ্দিন। তিনি বলেন, আমাদের এখানে ১৬ বছরের তরুণ থেকে শুরু করে ৭৫ বছরের বৃদ্ধ ফুটবলারও আছে। তবে মনের দিক থেকে সবাই তরুণ। জুনিয়র-সিনিয়র কোনো ব্যাপার নেই। ছোটরা বড়দের অনেক সম্মান করে। একটা পরিবারের মতো সবাই। নতুনদের সবসময় আমরা স্বাগত জানাই।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৫
এসকে/এমজেএফ