ঢাকা: খিলক্ষেতের ডুমনী ইউনিয়নের স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে ফুটবলের জাগরণ ছড়িয়ে দিতে দেশের শীর্ষস্থানীয় বৃহত্তম শিল্পপ্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা সিমেন্ট স্পন্সর করে ‘মরহুম আবদুল হামিদ চিশতি চেয়ারম্যান গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০১৫’। আয়োজিত এ ফুটবল টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করে ১৬টি দল।
১৬ দলের ৩৮টি ম্যাচ শেষে টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠে স্থানীয় ডুমনী স্পোর্টিং ক্লাব এবং পাতিরা এফসি। হাজার হাজার দর্শকের উপস্থিতিতে চেয়ারম্যান বাড়ি মাঠে অনুষ্ঠিত ফাইনালে ডুমনী স্পোর্টিং ক্লাব ৩-১ গোলে হারায় পাতিরা এফসিকে। জয়ী দলের হয়ে জোড়া গোল করেন ৯ নম্বর জার্সি পরিহিত ফয়সাল, একটি গোল করেন ৭ নং জার্সি পরিহিত রাসেদুল। পাতিরার হয়ে একমাত্র গোলটি করেন তাইজুল ইসলাম। জয়ী দলের দুই গোলদাতা আপন ভাই (রাসেদুল এবং ফয়সাল)।
ফাইনাল ম্যাচে উপস্থিতি ছিলেন খন্দকার কিংশুক হোসেন (বসুন্ধরা সিমেন্টের জেনারেল ম্যানেজার), মাকসুদুর রহমান (সেক্রেটারি ম্যানেজিং ডিরেক্টর হেড অব সেল)। বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতিনিধি হয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন মাজেদুর রহমান এবং আমিনুল ইসলাম। ফাইনাল ম্যাচে ছিলেন ডুমনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম।
বসুন্ধরা সিমেন্টের স্পন্সরে এ ফাইনাল ম্যাচ শুরুর আগে চোখে পড়ে মাঠ এবং মাঠের বাইরের হাজার হাজার দর্শকের ফুটবলের প্রতি উন্মাদনা। স্থানীয় বাসিন্দাদের ফুটবলের প্রতি টান। বাড়ির ছাদে, গাছের ডগায়, বালু নদীর তীর ঘেঁষে, প্রাচীরের উপর বসে খেলা দেখেন তারা।
জাতীয় সংগীতের মধ্যদিয়ে শুরু হওয়া ফাইনাল ম্যাচের প্রথমেই গোল করে এগিয়ে যায় ডুমনী। ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটে রাসেদুলের গোলে লিড নেয় দলটি। ষষ্ঠ মিনিটে আরেকবার এগিয়ে যাওয়া সুযোগ পেয়েছিল ডুমনী। ফয়সালের হেড দারুণ দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন পাতিরার গোলরক্ষক। ম্যাচের ২০তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ায় ডুমনীর ফুটবলাররা। নিজের প্রথম আর দলের দ্বিতীয় গোলটি করেন ফয়সাল।
এক ঘণ্টাব্যাপী ম্যাচের ২৫ মিনিটের মাথায় ব্যবধান কমানোর সুযোগ পেয়েছিল পাতিরা এফসি। ১০ নং জার্সি পরিহিত বাবুর জোরালো শট ঝাঁপিয়ে পড়ে রুখে দেন ডুমনীর গোলরক্ষক রিপন। এর ৫ মিনিট পর ডুমনীর স্ট্রাইকারের আরেকটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেন পাতিরার গোলরক্ষক। প্রথমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে ডুমনী বিরতিতে যায়।
বিরতির পর ম্যাচের ৫০ মিনিটের মাথায় প্রায় নিজেদের অর্ধ থেকে একক প্রচেষ্টায় বল নিয়ে পাতিরার ডি-বক্সে প্রবেশ করেন ফয়সাল। জোরালো শটে পাতিরার জালে বল জড়িয়ে ৩-০তে এগিয়ে দেন ডুমনীর দলটিকে। এর তিন মিনিট পর ব্যবধান কমান পাতিরার তাইজুল ইসলাম। প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে জটলার মধ্যে হেড করে গোলটি করেন তিনি।
ম্যাচের বাকি সময় আর কোনো গোল না হলে ৩-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ডুমনী স্পোর্টিং ক্লাব।
ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা সিমেন্টকে স্পন্সর হওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানানো হয় আয়োজক কমিটি থেকে। তারা জানান, বসুন্ধরা যেভাবে খেলাধুলাকে এগিয়ে নিতে কাজ করে চলেছে, তাতে ডুমনীবাসী অত্যন্ত আনন্দিত। প্রতিষ্ঠানটির সাফল্য ও সমৃদ্ধি কামনা করে আয়োজক কমিটি ধন্যবাদ জানান। এ সময় বসুন্ধরার পক্ষ থেকেও ডুমনীবাসীকে শুভেচ্ছা জানানো হয়। ভবিষ্যতে এরকম আরও টুর্নামেন্ট আয়োজন হয়ে বসুন্ধরা এগিয়ে আসবে বলে জানানো হয়। একটি ভালো মানের টুর্নামেন্ট উপহার দেওয়ায় এবং ফাইনালের দুই দলকে ভালো খেলার জন্য অভিনন্দন জানানো হয় বসুন্ধরার পক্ষ থেকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, ০৬ নভেম্বর ২০১৫
এমআর