ঢাকা: ফুটবলকে বর্তমান ধারা থেকে বের হয়ে নতুন ধারায় ফেরাতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে বদ্ধ পরিকর সাইফ পাওয়ারটেক। সেই উদ্দেশ্যেই বাংলাদেশ ফুটবলের অভিভাবক সংগঠনের সঙ্গে একাত্ম হয়ে প্রথমবারের মতো ফ্রাঞ্চাইজিভিত্তিক ফুটবল লিগ ‘বিএসএল’ (বাংলাদেশ সুপার লিগ) শুরু করতে যাচ্ছে দেশের এই পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানটি।
মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর স্থানীয় একটি হোটেলে এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের পক্ষে স্বাক্ষর করেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন ও সাইফ পাওয়ারটেকে’র পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালন তরফদার রুহুল আমিন।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বানিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বিরেন শিকদার, ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয় ও বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাম মুর্শেদী।
পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানের প্রধানের বক্তব্যে সাইফ পাওয়ারটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার রুহুল আমিন বলেন, ‘বাংলাদেশ ফুটবলের সোনালি অতীত ফিরিয়ে আনতেই আমরা বিএসএল বা বাংলাদেশ সুপার লিগের পৃষ্ঠপোষকতার দায়িত্ব নিয়েছি। শুধু তাই নয়, সুপার লিগে বাফুফের সঙ্গে ১৫ বছরের চুক্তিতে আমাদের অন্যান্য লক্ষ্যের মধ্য থাকছে, এদেশের আনাচে-কানাচে ফুটবলকে ছড়িয়ে দেয়া এবং পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশের ফুটবলকে নতুন রূপ দেয়া। গেল বছরের অক্টোবরে প্রথমবারের মতো আমরা শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ফুটবলের আয়োজন করেছি। আশা করছি এই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সুপার লিগও সফলতার সঙ্গেই আয়োজন করতে পারবো। ’
আর এমন উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিভাগীয় শহরগুলোতে স্টেডিয়াম প্রতিষ্ঠা সহ প্রতিটি স্টেডিয়ামেই ফ্লাডলাইট সরবরাহের জন্য কর্তৃপক্ষের সজাগ নজরদারী প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।
দেশের ফুটবলের সোনালি অতীত ফিরিয়ে আনতে সাইফ পাওয়ারটেকের এমন কর্মের প্রশংসা করে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বিরেন শিকদার স্বীকার করেন, একটি জাতীর নিজস্ব পরিচয় সৃষ্টিতে ক্রীড়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। আমাদের ফুটবল এতদিন তার নিজস্ব স্থানে ছিল না। সাইফ পাওয়ারটেক’র উদ্যোগে ফুটবল তার হারানো অতীত ফিরে পাবে বলে আমি বিশ্বাস করি। ’
বিএসল মাঠে গড়ানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে ১৫ বছরে ৩৫ কোটি টাকার চুক্তিতে কাজ করবে সাইফ পাওয়ারটেক। চুক্তি অনুযায়ী এ বছরের নভেম্বর থেকে মাঠে গড়াবে বিএসএল। বিএসএল’র জন্য দেশের প্রতিটি বিভাগ থেকে ৭ থেকে ৮টি দল গঠন করে নিয়মিত খেলা অনুষ্ঠানের আশাবাদ ব্যক্ত করেন তরফদার রুহুল আমিন। যেখানে খেলোয়াড়রা বিদেশি তারকা খেলোয়াড়দের সঙ্গে খেলবেন।
সাইফ পাওয়ারটেক’র এমন উদ্যোগের ফলে বাংলাদেশ ফুটবল শুধুই আর্থিক ভাবে লাভবান হবেনা, লাভবান হবে নিজেদের দক্ষতা তৈরিতে এমনটি মনে করেন, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দীন। তিনি বলেন ‘শুধু আর্থিক ভাবে নয়, আমাদের খেলোয়াড়রা নিজেদের দক্ষতা তৈরিরও সুয়োগ পাবে বাংলাদেশ সুপার লিগ থেকে। দেশের ৭ থেকে ৮ ভেন্যুতে নিয়মিত খেলা হবে। হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিক ম্যাচ হবে, যেখানে বিদেশি খেলোয়াড়রাও অংশ নেবে। তাই বিএসএল এদেশের ফুটবলে একটি নতুন মাত্রা যোগ করতে পারবে বলে আমি বিশ্বাস করি। ’
বাংলাদেশ সময়: ০৫১৭ ঘণ্টা, ০৬ জানুয়ারি ২০১৬
এইচএল/এমআর