কলম্বো: শ্রীলঙ্কার চেয়ে ভারত একটু বেশি টেনশনে। এই বুঝি সিরিজ খোয়া গেলো।
শ্রীলঙ্কা: ৪২৫ ও ২৬৭
ভারত: ৪৩৬ ও ৫৩/৩
জয়ের জন্য ভারতের দরকার ২০৪ রান। শ্রীলঙ্কার চাই সাত উইকেট। জয়ের পাল্লা ভারসাম্য ধরে রেখেছে। কৌশল আর বুদ্ধিমত্তা দিয়ে যারা সুযোগ কাজে লাগাতে পারবে সাফল্য তাদের পক্ষ নেবে।
ভারতের জয় মানেই ১-১ সমতা নিয়ে তিন টেস্ট সিরিজ শেষ হবে। স্বাগতিকরা জিতে গেলে ভারত সিরিজ হারবে ২-০ তে। বোঝার বাকি থাকে উত্তেজনার পারদ হুহু করে উপরের দিকে উঠে গেছে। অনেক চাপ নিয়ে রাতে বিছানায় যাবেন দুই দলের ক্রিকেটাররা।
পি সারা ওভালের উইকেট দ্বিতীয় ইনিংসে ভোজবাজির মতো বদলে গেছে। প্রথম ইনিংসে যেখানে রানের চূড়া ছুঁয়েছে চারশর ওপরে (শ্রীলঙ্কা: ৪২৫, ভারত: ৪৩৬) সেখানে দ্বিতীয় ইনিংসে ৯০ ওভার পর্যন্ত ব্যাট করতে পারেনি খোদ স্বাগতিক দল। ৮৫.২ ওভার ব্যাট করে শ্রীলঙ্কা অল-আউট হয়েছে ২৬৭ রানে।
ভারতের বোলারদের তোপের মুখে ক্রিজে টিকে থাকাই কঠিন হয়ে উঠেছিলো লঙ্কান ব্যাটসম্যানদের জন্য। বিশেষ করে শুক্রবার টেস্টের চতুর্থ দিন পিচে স্পিন ধরেছে। বলে যেমন টার্ন ছিলো তেমনি ঘূর্ণির ফাঁদ এড়াতে পারেননি সাঙ্গাকারারা।
চাপের মধ্যেও থিলান সামারাবিরার ৮৩ ও স্পিনার অজন্তা মেন্ডিস ৭৮ রানের ইনিংস খেলে দলের স্কোরটাকে মোটামুটি পর্যায়ে নিয়ে গেছেন।
প্রজ্ঞান ওঝা, বীরেন্দ্র শেবাগ ও অমিত মিশ্ররা তিনটি করে উইকেট শিকার করেছেন। পেস বোলাররা সুবিধা করতে পারেননি। একটি মাত্র উইকেট নিয়েছেন অভিমন্যু মিথুন।
২৫৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ভারতও চাপের মুখে। ৫৩ রান তুলতে তিনটি উইকেট হারিয়ে বসেছে সফরকারী দল। গুরুত্বর্পূণ তিন ব্যাটসম্যান মুরুলি ভিজয়, বীরেন্দ্র শেবাগ ও রাহুল দ্রাবিড় আউট হয়েছেন।
ভরসার জায়গা হলো ভারতের পরের দিকের ব্যাটসম্যানরাও যথেষ্ট শক্তিশালী। যে কোন একটি জুটি দাঁড়িয়ে গেলেই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নিতে পারেন।
ভারতের তিনটি উইকেট নিয়েছেন লঙ্কান স্পিনার সূরজ রানদিভ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩১ ঘন্টা, আগস্ট ২০১০