ঢাকা: প্রথমার্ধে ১-১ সমতা। আর ম্যাচ শেষেই কিনা স্কোরলাইন ৬-১! হ্যাঁ, ন্যু ক্যাম্পে দ্বিতীয়ার্ধের খেলায় সেল্টা ভিগোর জালে পাঁচ পাঁচবার বল পাঠায় বার্সেলোনা।
বলা যায়, ‘এমএসএন’ ত্রয়ীর (মেসি-সুয়ারেজ-নেইমার) নৈপুণ্যের কাছেই অসহায় আত্মসমর্পণ করে সেল্টা। অথচ, এই সেল্টার মাঠেই চলতি মৌসুমের লিগ ম্যাচে দ্বিতীয় হারের (৪-১) স্বাদ পেয়েছিল কাতালানরা। মধুর প্রতিশোধই বলা চলে!
তবে, হ্যাটট্রিক হিরো সুয়ারেজকে ছাপিয়ে উঠে আসছে পাঁচবারের ব্যালন জয়ী মেসির নাম। পেনাল্টি থেকে নিজের ৩০০তম লা লিগা গোলের মাইলফলকের সামনে দাঁড়িয়েও তা ইচ্ছে করেই হাতছাড়া করেন আর্জেন্টাইন আইকন।
নির্ধারিত সময়ের ৯ মিনিট আগে স্পট কিক নিতে গিয়ে মেসি বল বাড়িয়ে দেন সুয়ারেজের উদ্দেশ্যে। সেখান থেকেই নিজের হ্যাটট্রিক ও কাতালানদের হয়ে পঞ্চম গোলটি করেন উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার।
সুয়ারেজ মেসিকে বিশেষ ধন্যবাদ দিতেই পারেন। কারণ, তার বাকি দুই গোলের আরেকটিও আসে বিশ্বফুটবলের ক্ষুদে জাদুকরের পাস থেকেই। অবশ্য, গোল উৎসবের সূচনা কিন্তু মেসিই করেন। ফ্রি-কিক থেকে অসাধারণ বাঁকানো শটে সেল্টার খেলোয়াড়দের ওয়ালের উপর দিয়ে বল জালের কোনায় পাঠান ২৮ বছর বয়সী এ ফরোয়ার্ড। গোলরক্ষক সার্জিও আলভারেজের তা আটকানোর কোনো সাধ্যই ছিল না।
প্রথমার্ধ শেষের ছয় মিনিট আগে পেনাল্টি থেকে সুইডিশ স্ট্রাইকার জন গুইডেত্তির গোলে সমতায় ফেরে ভিজিটররা। এটিই যেন তাঁতিয়ে দেয় স্বাগতিকদের। বিরতির পরই যে অগ্নিমূর্তি ধারণ করে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। ৫৯, ৭৫ ও ৮১ মিনিটে হ্যাটট্রিক পূরণ করে সেল্টাকে এক ধাক্কায় ছিটকে ফেলেন সুয়ারেজ।
মিনিট তিনেক বাদেই গোলের খাতায় নাম লেখান ইভান রাকিটিচ। আর অন্তিম মুহূর্তে সুয়ারেজের দূরপাল্লার পাসে বল নিয়ন্তণে নিয়ে গোল উৎসবে মাতেন ব্রাজিলিয়ান সেনসেশন নেইমার। রেফারি শেষ বাঁশি বাজানোর পর প্রায় ৭৩ হাজার দর্শক ভর্তি গ্যালারিও যেন উল্লাসে ফেটে পড়ে। ঘরের মাঠে উড়ন্ত জয়ে এটাই তো স্বাভাবিক!
এ জয়ের ফলে পয়েন্ট টেবিলে এক ম্যাচ কম খেলেই তিন পয়েন্টের লিড নিল বার্সা। ২৩ ম্যাচে তাদের সংগ্রহ ৫৭ পয়েন্ট। এক ম্যাচ করে বেশি খেলে যথাক্রমে দুইয়ে অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ ও তিনে রিয়াল মাদ্রিদ। দু’দলের পয়েন্ট সংখ্যা যথাক্রমে ৫৪, ৫৩।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৫৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৬
আরএম
** তোরেসের গোলে জিতলো অ্যাতলেতিকো