ঢাকা: লা লিগার ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে তিনশ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করলেন লিওনেল মেসি। মেসির রেকর্ডের রাতে স্পোর্টিং গিজনকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে বার্সেলোনা।
এ ম্যাচটি লুইস এনরিকের জন্য স্মরণীয় হয়েই থাকবে। কেননা, কোচ হিসেবে প্রথমবারের মতো শৈশবের ক্লাবের মুখোমুখি হন তিনি। খেলোয়াড়ী জীবনে বয়সভিত্তিক দলসহ তার পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ারটাও শুরু হয় গিজনের হয়ে।
এদিকে, নিজেদের শেষ চারটি লিগ ম্যাচে অপরাজিত ছিল গিজন। তবে সাবেক ক্লাবের বিপক্ষে যেন খানিকটা নির্ভার ছিলেন এনরিক। তাই মাঝমাঠের কান্ডারি আন্দ্রেস ইনিয়েস্তাকে স্কোয়াডে রাখলেও মাঠে নামাননি। তার পরিবর্তে খেলেন আরদা তুরান। ৮০ মিনিট পর্যন্ত হাভিয়ের মাশ্চেরানোও থাকেন বিশ্রামে।
গিজনের মাঠে খেলা শুরুর ২৫ মিনিটে মাইলফলক ছোঁয়া গোলটি করেন মেসি। লু্ইস সুয়ারেজের পাস থেকে মাটি কামরানো শটে বল জালে জড়ান পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী। লা লিগার সর্বোচ্চ গোলস্কোরারের তালিকায় মেসির ধারে কাছেও কেউ নেই। দ্বিতীয় স্থানে প্রয়াত অ্যাথলেতিক বিলবাও কিংবদন্তি তেমো জারা (২৫১)। আর জারাকে টপকাতে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর দরকার আর মাত্র ৬ গোল।
কিন্তু, দুই মিনিট না যেতেই কাউন্টার অ্যাটাকে গিজনকে সমতায় ফেরান স্ট্রাইকার কার্লোস কাস্ত্রো। তবে এর চার মিনিটের মাথায় আবারো মেসি ম্যাজিক। ডি-বক্সের ডান কোনের সামনে থেকে বাঁ পায়ের বুলেট গতির শটে জোড়া গোল পূরণ করেন আর্জেন্টাইন আইকন। এবারো নেপথ্য নায়ক ছিলেন উরুগুইয়ান তারকা। ২-১ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় ভিজিটররা।
অবশ্য, প্রথমার্ধে আরো কয়েকটি নিশ্চিত গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন এনরিকের শিষ্যরা। ২১ মিনিটে নেইমারের পাসে গোলমুখের সামনে থেকে সুয়ারেজকে গোলবঞ্চিত করেন গিজন গোলরক্ষক পিকু কুয়েলার। আর ৩৩ মিনিটে মেসিকে পাস না দিয়ে আড়াআড়ি শটে গোল মিস করেন নেইমার। চার মিনিট বাদেই ব্রাজিলিয়ান সেনসেশনের আরেকটি প্রচেষ্টা গোলপোস্ট প্রতিহত করে।
দ্বিতীয়ার্ধের ৬২ মিনিটে পেনাল্টি থেকেও গোল করতে ব্যর্থ হন সুয়ারেজ। হ্যাটট্রিকের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও স্পট কিক নেননি মেসি। ডি-বক্স সীমানায় নেইমারকে ট্যাকল করারই যেন প্রায়শ্চিত্ত করেন গিজন গোলরক্ষক। তবে পাঁচ মিনিট পরেই গোল আদায় করে উল্লাসে মাতেন সুয়ারেজ। ডি-বক্সের ডান পাসে দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বাম পায়ের নিখুঁত শটে বল জালে পাঠান সাবেক লিভারপুল তারকা।
নির্ধারিত সময়ের আগে দু’দলের কেউই আর গোলের দেখা পাননি। তাই স্বাগতিকদের হতাশার বিপরীতে প্রত্যাশিত জয়ের উচ্ছ্বাস নিয়ে মাঠ ছাড়েন মেসি-নেইমার-সুয়ারেজরা।
পয়েন্ট টেবিলে ২৪ ম্যাচ শেষে শীর্ষে থাকা বার্সার সংগ্রহ ৬০। ১৯টি জয়ের বিপরীতে রয়েছে তিনটি ড্র ও দু’টি হার। সমান ম্যাচে মাত্র ২৩ পয়েন্টে ১৬ নম্বরে গিজন। ৫৪ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ ও এক পয়েন্ট পিছিয়ে থেকে তৃতীয় স্থানে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদ।
বাংলাদেশ সময়: ০১২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৬
আরএম