ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

খেলা

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশি সাঁতারুদের ধারাবাহিক সাফল্য

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৬
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশি সাঁতারুদের ধারাবাহিক সাফল্য

ঢাকা: দেশের ক্রীড়াঙ্গন ছাপিয়ে বাংলাদেশের সাঁতারুরা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ধারাবাহিক সাফল্য অর্জন করে চলেছে। সম্প্রতি দেশের বাইরে অনুষ্ঠিত এসএ গেমস ও সাউথ এশিয়ান অ্যাকোয়াটিক চ্যাম্পিয়নশিপসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে বাংলাদেশের কৃতি সাঁতারুরা।

গত ১৮-২৩ অক্টোবর শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে অনুষ্ঠিত সাউথ এশিয়ান অ্যাকোয়াটিক চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশি সাঁতারুরা দুইটি স্বর্ণ, দুইটি রৌপ্যসহ মোট ৯টি পদক লাভ করেন। কলম্বোর সুগাথা দাসা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের হয়ে সুইমিং পুলে ঝড় তোলেন সাঁতারু আরিফুল ইসলাম, রোমানা আক্তার, মাহফুজা খাতুন শীলা এবং মাহফিজুর রাহমান সাগর।

সাউথ এশিয়ান অ্যাকোয়াটিক চ্যাম্পিয়নশিপের বয়সভিত্তিক অনূর্ধ্ব-১৮ বিভাগে বাংলাদেশের কৃতি সাঁতারু আরিফুল ইসলাম ১০০ মিটার ব্রেস্ট স্ট্রোকে ১:০৮.২১ সময় নিয়ে প্রথম স্বর্ণ এবং ৫০ মিটার ব্রেস্টস্ট্রোকে ৩০.৯৪ সময় নিয়ে দ্বিতীয় স্বর্ণ পদক লাভ করেন। অন্যদিকে অনূর্ধ্ব-১৮ বালিকা বিভাগে ৫০ মিটার ব্রেস্টস্ট্রোকে রোমানা আক্তার ৩৭.০৩ সময় নিয়ে রৌপ্য পদক জিতেছেন। এছাড়া মাহফুজা খাতুন শীলা ৫০ মিটার ব্রেস্টস্ট্রোকে রৌপ্য পদক এবং মাহফিজুর রহমান সাগর ১০০ মিটার ফ্রি স্টাইলে ৫৩.১১ সময় নিয়ে রৌপ্য পদক লাভ করেন।

গত ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত ১২তম এসএ গেমসে সাঁতারু মাহফুজা খাতুন শীলা ৫০ এবং ১০০ মিটার ব্রেস্টস্ট্রোকে অংশ নিয়ে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করে দুইটি স্বর্ণ পদক লাভ করেন, যা দেশের সাঁতারে বড় সাফল্য।

বর্তমান সরকার ক্রিকেটসহ সব ধরনের খেলাধুলার উন্নয়নে অত্যন্ত আন্তরিক এবং এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পৃষ্ঠপোষকতা ও সহযোগিতা প্রদান করে আসছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশন ও নৌবাহিনী যৌথ উদ্যোগে দেশব্যাপী প্রতিভাবান সাঁতারু অন্বেষণ প্রতিযোগিতা শুরু করে। বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশন এর সভাপতি এবং নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ, ওএসপি, এনডিসি, পিএসসি এর ঐকান্তিক আগ্রহে সাঁতারের ব্যাপক প্রসার এবং উন্নয়নে এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।

নদীমাতৃক বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রতিভাবান সাঁতারুদেরকে তুলে আনার লক্ষ্যে সারাদেশের ৬৪টি জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল হতে প্রতিভাবান সাঁতারু বাছাই অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই প্রতিভা অন্বেষণ এবং নবীন সাঁতারুদের যথোপযুক্ত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যোগ্য হিসেবে গড়ে তোলার মাধ্যমে ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় আরও বেশি সাফল্য অর্জন করা সম্ভব হবে, যা ক্রীড়াক্ষেত্রে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে বিশ্ব দরবারে সমুজ্জ্বল করবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, ৩১ অক্টোবর ২০১৬
এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।