ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

খেলা

বসুন্ধরা বাংলাদেশ ওপেন-২০১৭

প্রস্তুত কুর্মিটোলা গলফ কোর্স

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৭
প্রস্তুত কুর্মিটোলা গলফ কোর্স প্রস্তুত কুর্মিটোলা গলফ কোর্স/ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম (ফাইল ফটো)

কুর্মিটোলা থেকে: আর মাত্র একটি রাতের অপেক্ষা। তরপরেই কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের সবুজ কোর্সে শুরু হবে ‘বসু্ন্ধরা বাংলাদেশ ওপেন গলফ ২০১৭’। বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করবে দেশের গলফের একমাত্র আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের তৃতীয় আসর। এই উপলক্ষ্যে এখানে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ।

মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে কুর্মিটোলা গলফ কোর্সে প্রবেশ করতেই চোখে পড়লো বাড়তি সাজসজ্জা। ওল্ড ডিওএইচএস গেইট থেকে শুরু করে পুরো গলফ কোর্স এলাকা মুড়ে দেয়া হয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপের বর্ণিল ব্যানার ও প্ল্যাকার্ডে।

সেই প্ল্যাকার্ড ও ব্যানারের বুকে শোভা পাচ্ছে ‘বসুন্ধরা বাংলাদেশ ওপেন ২০১৭’র পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানটির লোগো সম্বলিত ছবি।

...এভাবে দেখতে দেখতে এক সময় এসে থামলাম গলফ ক্লাবের লবির সামনে। বছরের অন্যান্য সময় যে জায়গাটিতে সুনশান নিরবতা বিরাজ করে সে জায়গাটিই আজ মুখর হয়ে উঠেছে দেশি-বিদেশি গলফার ও কেডিদের পদচারণায়। আন্তর্জাতিক গলফের এই মহাযজ্ঞকে সামনে রেখে ভীষণ ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। কেউ ছুটছেন স্টিকস হাতে, আবার কেউ ব্যস্ত স্টিকস কার্টে চাপিয়ে কোর্সে নিয়ে। শুধু্ই কী গলফার ও কেডিরা? টুর্নামেন্টকে সফল করতে এদিক ওদিক ছোটাছুটি করছেন ফেডারেশনের কর্মকর্তারাও।

তাদের ব্যস্ততা দেখা শেষে এসে দাঁড়ালাম এক নম্বর হোলের সামনে। দেখলাম, এক গলফার টি অফ করছেন, এটা অবশ্য তার প্রস্তুতি। টুর্নামেন্টের আগের দিন শেষ প্রস্তুতিতে নিজেকে ঝালিয়ে নিচ্ছিলেন। এরপর পরই দৃষ্টি আটকে ওই হোলের ‘গ্রিন’র দিকে। কী অসাধারণ সুন্দর ‘গ্রিন’!

...যেন কোন শিল্পির তুলির আঁচরে আঁকা। সেখানে দাঁড়ানো এক কেডি বলে উঠলেন, ‘এবারের গ্রিনটি বেশ কঠিন। এখান থেকে হোলে বল ফেলা সহজ হবে না। ’ কেন? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বেশ ফাস্ট এবারের গ্রিন। টুর্নামেন্ট বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। ’

এমন কথা শুনে তার নাম জানতে চাইলে বললেন, ‘আমার নাম ফরহাদ। ’ ফরহাদ কুর্মিটোলা গলফ কোর্সের একজন কেডি। এক বছরের ব্যবধানে আবার এশিয়ান ট্যুর শুরু হয়েছে, তাই তার চোখে-মুখে খেলে যাচ্ছে আনন্দের ঝিলিক, ‘ব্যস্ততা বেড়ে গেছে তাই আমরা ভীষণ আনন্দিত। এমন টুর্নামেন্ট হলে ভালো লাগে। দেশ-বিদেশের বড় বড় প্লেয়ারদের সাথে সময় কাটে। ওদের কাছ থেকে অনেক কিছুই শেখা যায়। ’

...কথাবার্তার এক পর্যায়ে এই কেডি বসুন্ধরা গ্রুপকে ধন্যবাদ জানিয়ে বললেন, ‘বসুন্ধরা গ্রুপের জন্যই আমরা এমন আন্তর্জাতিক মানের একটি টুর্নামেন্ট পাই। তাই তাদের ধন্যবাদ। আমরা আশা করবো এমন আসর তারা আরও আয়োজন করবে। ’

যথার্থই বলেছেন কেডি ফরহাদ। দেশের গলফের উন্নয়নে বসুন্ধরা গ্রুপের এমন উদ্যোগ সত্যিই ভূয়সী প্রশংসার দাবিদার।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, ৩১ জানুয়ারি ২০১৭
এইচএল/এমআরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।