বার্সেলোনায় আর্থার মেলোর শেষটা একেবারেই ভালো হলো না। বরং দিন যত যাচ্ছে আর্থার-বার্সা সম্পর্ক ততই তিক্ত হচ্ছে।
এর আগে ২০১৮ সালে স্বদেশী ক্লাব গ্রেমিও থেকে অনেক আশা নিয়ে বার্সায় পাড়ি দেন আর্থার। এমনকি সেসময় তাকে পরবর্তী ইনিয়েস্তার সঙ্গেও তুলনা করেছিল অনেকে। কিন্তু এই মৌসুমের শুরুতেই তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য উঠেপড়ে লাগে বার্সা। অবশেষে জুভেন্টাসের বসনিয়ান মিডফিল্ডার মিরালেম পিয়ানিচের সঙ্গে অদল-বদল করা হয় আর্থারকে। যদিও বার্সা ছাড়তে রাজি ছিলেন না তিনি।
এরপরেই দুই পক্ষের মাঝে শুরু হয় টানাপোড়েন। লিগের শেষ কয়েকটি ম্যাচে তাকে মাঠে নামাননি কোচ কিকে সেতিয়েন। এবার লিগ শেষ হয়ে গেলেও চ্যাম্পিয়নস লিগের জন্য তাকে ধরে রেখেছে বার্সা। তবে আর্থার চাইছে তার সঙ্গে দলের চুক্তি বাতিল করা হোক। কিন্তু উল্টো বার্সা তাকে অনুশীলনের জন্য ডেকে পাঠিয়েছে। তবে তিনি ব্রাজিল থেকে না ফিরলেই ঝামেলা বাধে। বার্সা এখন তার বিরুদ্ধে মামলা করতে চাইছে।
সোমবার বার্সার সব ফুটবলারের করোনা পরীক্ষা করালেও আর্থার আসেননি। এছাড়া মঙ্গলবার অনুশীলনেও ফেরেননি। আর্থার মনে করেন, তার সঙ্গে বার্সা দুর্ব্যবহার করেছে। সে দল ছাড়তে না চাইলেও তাকে জোর করে জুভেন্টাসে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে আর্থারের এমন আচরণে বার্সা বিদ্রোহ ও অনিয়ম খুঁজে পেয়েছে। ফলে এই মিডফিল্ডারের বিরুদ্ধে তারা মামলার হুমকি দিয়েছে। স্প্যানিশ শীর্ষ এই ক্লাব বিশ্বাস করে আর্থার যদি আরও দায়িত্বশীল হয়ে আলোচনা করতো, তবে পরিস্থিতি আরও ঠিক হতো ও সহজেই সমাধান করা যেত।
তবে ক্লাবের অনুমতি ছাড়া আর্থার চলে যাওয়ায় বার্সা এখন নিজেদের আইনেই এগিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। জানা যায়, এ ব্যাপারে নথিপত্র বার্সার আইনি কর্মকর্তার কাছে এসে পৌঁছেছে। আর যেকোনো সময় তার বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেওয়া হতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০২০
এমএমএস