ইতিহাস হাতছানি দিয়ে ডাকছিল লিঁওকে। বায়ার্ন মিউনিখকে হারাতে পারলে প্রথমবারের মতো উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল নিশ্চিত হতো ফরাসি ক্লাবটির।
আর তা হলে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ফুটবল ভক্তরা দেখতো ‘অল ফ্রেঞ্চ’ ফাইনাল। কিন্তু স্বপ্নকে বাস্তবে পূরণ করতে পারেনি রুদি গার্সিয়ার শিষ্যরা। শেষ আটে বার্সেলোনার মতো পরাশক্তিকে উড়িয়ে দেওয়া বাভারিয়ানরা এবার সের্গে নাব্রির জোড়া গোলে লিঁওকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়ে ওঠে গেছে চলতি চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে।
বুধবার (১৯ আগস্ট) দিবাগত রাতে পর্তুগালের লিসবনে এক লেগের সেমিফাইনালে ম্যাচের শুরু থেকে আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকে বায়ার্ন। হ্যান্স ফ্লিকের শিষ্যরা এগিয়েও যায় ১৮তম মিনিটে। জশুয়া কিমিচের লং পাস থেকে বল পেয়ে রাইট-উইং ধরে ক্ষিপ্র গতিতে এগিয়ে যান নাব্রি। এরপর লিঁওর রক্ষণভাগকে তছনছ করে নেন জোরালো শট। গোলরক্ষক অ্যান্থনি লোপেজকে ফাঁকি দিয়ে বল জড়িয়ে যায় জালে।
প্রথম গোলের পর আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে বায়ার্ন। ৩৩তম মিনিটে ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন নাব্রি। রবার্ট লেভানডভস্কি গোলের সহজ সুযোগ নষ্ট করলেও মিস করেননি জার্মান মিডফিল্ডার। দ্বিতীয় গোল হজমের পর অবশ্য ম্যাচে ফিরতে মরিয়া হয়ে ওঠে লিঁও। বিরতি থেকে ফিরে বার কয়েক আক্রমণ চালায় তারা। কিন্তু ব্যবধান গোছানো সম্ভব হয়নি ফরাসি ক্লাবটির। উল্টো শেষ মুহূর্তে আবারও পিছিয়ে পড়ে তারা।
এবার আর সুযোগ মিস করেননি লেভা। ৮৮তম মিনিটে ফ্রি-কিক থেকে কিমিচের আরেকটি পাসে লিঁওর জালে বল জড়িয়ে দেন পোলিশ স্ট্রাইকার। বায়ার্নের জার্সিতে চলতি মৌসুমে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা লেভার এটি সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৫৫তম গোল। আর চলতি চ্যাম্পিয়নস লিগে ১৫তম।
চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজেদের ইতিহাসে বায়ার্নের এটি ১১তম ফাইনাল হতে যাচ্ছে। তার মধ্যে ষষ্ঠ শিরোপা জয়ের জন্য জার্মান জায়ান্টরা মুখোমুখি হবে আরেক ফরাসি ক্লাব প্যারিস সেন্ট জার্মেই’র (পিএসজি)। আগেরদিন লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়নরা জার্মান ক্লাব লিপজিগকে ৩-০ গোলে হারিয়ে নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ০২৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০২০
ইউবি