ঢাকা: বর্তমান হিসেবের সময়ে ২০ ওভারে ১৬৮ রানের টার্গেট খুব বড় নয়। তবে দারুণ বোলিংয়ে সেই লক্ষ্যমাত্রার ১০ রান আগেই থামতে হলো ক্যাপ্টেন কুলের চেন্নাই সুপার কিংসকে।
আবুধাবিতে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক। শুভমন গিল আর রাহুল ত্রিপাঠির উদ্বোধনী জুটি ভেঙে যায় ৩৭ রানেই। এ ধাক্কা সামনে নিয়ে পাওয়ারপ্লের ছয় ওভারে এক উইকেট হারিয়ে কলকাতার রান ছিল ৫২।
অন্যপ্রান্তে, ক্রমাগত উইকেট পড়তে থাকলেও একটা দিক আটকে রেখেছিলেন রাহুল ত্রিপাঠি। কেকেআরের হয়ে প্রথম বার ওপেন করতে নেমে তিনি টানছিলেন দলকে। ডোয়েন ব্র্যাভোর বলে শেন ওয়াটসনের তালুবন্দি হওয়ার আগে ৫১ বলে ৮১ রান করেন ত্রিপাঠি।
তার এই ইনিংসের উপর ভর করেই ২০ ওভার শেষে সব উইকেট হারিয়ে কেকেআরের স্কোরবোর্ডে সংগ্রহ হয় ১৬৭ রান। চেন্নাইয়ের সব চেয়ে সফল বোলার ছিলেন ‘বার্থডে বয়’ ডোয়েন ব্র্যাভো। ৩৭ রানে তিন উইকেট নেন এই ক্যারিবিয় অলরাউন্ডার।
১৬৮ রান তাড়া করতে গিয়ে চেন্নাইয়ের প্রথম উইকেট পড়েছিল ৩০ রানে। শিবম মাভির বলে দীনেশ কার্তিককে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছিলেন ফাফ দু’প্লেসি। দুরন্ত ছন্দে ছিলেন শেন ওয়াটসন। কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে আগের ম্যাচেই ৫৩ বলে ৮৩ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। বুধবার সেই মেজাজেই দেখা গিয়েছিল তাকে। ওয়াটসনের পঞ্চাশ এসেছিল ৩৯ বলে। ছয়টি চার ও একটি ছয়ের সাহায্যে। অম্বাতি রায়ুডুর সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ৬৯ রান যোগ করে তিনি টানছিলেন চেন্নাইকে। ২৭ বলে ৩০ করে ফিরেছিলেন রায়ুডু। কমলেশ নাগারকোটির বলে শুভমন গিলকে ক্যাচ দিয়েছিলেন তিনি। ৯৯ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারিয়েছিল সিএসকে।
পঞ্চাশ পেরনো ওয়াটসনকে ফিরিয়ে এরপর কলকাতাকে ম্যাচে ফেরালেন সুনীল নারিন। এলবিডব্লিউ হয়েছিলেন ওয়াটসন। ডিআরএস প্রযুক্তির সাহায্য নিয়েও লাভ হয়নি। ফিরতেই হয়েছিল তাকে। ১০১ রানে তৃতীয় উইকেট পড়েছিল চেন্নাইয়ের।
চার নম্বরে নেমেছিলেন ধোনি। বরুণ চক্রবর্তীর বলে বোল্ড হওয়ার কারণে তিনি যোগ করেন ১২ বলে ১১ রান।
শেষ দুই ওভারে চেন্নাইয়ের দরকার ছিল ৩৬ রান। কেদার যাদব-রবীন্দ্র জাদেজাকে ওভারপ্রতি তুলতে হয় ১৮ রান করে। শেষ ওভারে দরকার ছিল ২৬ রানের। রাসেল শেষ ওভারে দিলেন ১৫ রান। পাঁচ উইকেট হারিয়ে চেন্নাই থেমে গেল ১৫৭ রানে।
৫১ বলে ৮১ রান করায় ম্যাচ সেরা হন রাহুল ত্রিপাঠি।
বাংলাদেশ সময়: ০১২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০২০
ডিএন/আরআইএস