লন্ডন: স্বেচ্ছায় অবসরে যাননি, শরীর বাধ্য করেছে ক্রিকেটকে বিদায় বলতে। সবধরণের ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ালেন অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ।
চোট নিত্য সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছিলো। পরিপূর্ণ সুস্থ থেকে খুব কম সিরিজই খেলতে পেরেছেন ফ্লিনটফ। কখনো গোড়ালি কখনো হাঁটুতে আঘাত পেয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে ছিটকে পড়েছেন। চোট মুক্ত হতে না পারায় টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন দেশের মাঠে অ্যাশেজ সিরিজ জেতার পর।
২০০৯ সালের আগস্টে অ্যাশেজ সিরিজ শেষে হাঁটুর অস্ত্রোপচার করান ফ্লিনটফ। আশা করেছিলেন এই মৌসুমেই ফিরতে পারবেন। শেষ পর্যন্ত হয়নি। আত্মবিশ্বাস ছিলো অন্তত টি-টোয়েন্টি খেলা চালিয়ে যেতে পারবেন। কিন্তু সার্জনের কাছে যাওয়ার পর সবকিছুই বদলে গেছে। চিকিৎসক জানিয়ে দেন হাঁটুতে ভর দিয়ে ক্রিকেট খেলা সমীচীন হবে না।
উপায়ান্তর না দেখে সবধরণের ক্রিকেট থেকে বিদায়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন ইংলিশ বোলার। বিদায়টা সুখের হলো না। সেই আক্ষেপই ঝড়েছে ফ্লিনটফের মুখ থেকে। বলেন,“হতাশা এবং দুঃখভারাক্রান্ত হয়ে সবধরণের ক্রিকেট থেকে আজ আমি বিদায় নিচ্ছি। ”
এই একটি মাত্র বাক্যই বলে দেয় অনেক অতৃপ্তি নিয়ে সরে যেতে হলো ফ্লিনটফকে। ব্যাট উচিয়ে বীরের সম্মানে মাঠ ছাড়তে না পারার দুঃখ হয়তো অনেক দিনই পোড়াবে।
বিদায় বেলায় কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেছেন ইংলিশ ক্রিকেট বোর্ডের কাছে। সমর্থকদের ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি। ফ্লিনটফের ভাষায়,“আমার পরিবারকে ধন্যবাদ জানাই। ল্যাঙ্কাশায়ার ক্রিকেট কাব, আমার সব স্পন্সর প্রতিষ্ঠান, সতীর্থ বন্ধুরা, উপদেষ্টা ও ভক্ত সমর্থকদের ধন্যবাদ জানাই। ”
বাংলাদেশ সময়: ১৯১২ ঘন্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১০