ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

খেলা

ফুটবলার আঁখির বাবাকে থানায় ধরে নেওয়ার হুমকি!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২২
ফুটবলার আঁখির বাবাকে থানায় ধরে নেওয়ার হুমকি!

সিরাজগঞ্জ: সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ শিরোপা জয়ী নারী ফুটবল দলের আঁখি খাতুনকে দেওয়া সরকারি দ্বিতীয় জমি নিয়েও মামলা দায়ের করা হয়েছে।  

মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ওসিকে ওই জমিতে বিশৃঙ্খলা বন্ধ করে শৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

 

এদিকে মামলার নোটিশ দিতে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে পারকোলা এলাকায় আঁখি খাতুনের বাড়িতে গিয়ে তার বাবা আক্তার হোসেনের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়ে পুলিশ।

সাফজয়ীরা নেপাল থেকে ফিরেছেন বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে। বুধবার রাতে নোটিশটি দিতে আঁখির বাড়িতে যায় পুলিশ। এ সময় নোটিশ গ্রহণ করতে না চাইলে আঁখির বাবাকে পুলিশ শাসায় বলে অভিযোগ করেন আঁখির বড় ভাই নাজমুল হাসান।

তিনি বলেন, গত রাতে পুলিশ একটি নোটিশ নিয়ে আসে। আমার বাবা নোটিশে স্বাক্ষর করতে না চাইলে খারাপ ব্যবহার করে পুলিশ। আমার বাবাকে থানায় নিয়ে যাবারও  হুমকি দেওয়া হয়।

শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, আদালতের নির্দেশে পুলিশ রাতে আঁখির বাড়িতে নোটিশ দিতে যায় পুলিশ। নোটিশ না নেওয়ায় পুলিশের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। পরে ঘটনাটি মীমাংসা করা হয়েছে।  

বৃহস্পতিবার সকালে সহকারী পুলিশ সুপার (শাহজাদপুর সার্কেল) আঁখির বাড়ি পরিদর্শন করেছেন।  

শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বলেন, ফুটবলার আঁখির জন্য ১ নম্বর খাস খতিয়ানের একটি জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি মকরম প্রামাণিক নামে এক ব্যক্তি ওই জমির তার দখলে রয়েছে দাবি করে মামলা দায়ের করেছেন। তবে মামলায় তিনি ওই জমির মালিকানা দাবি করেননি। মামলার তফসিলে খতিয়ানও উল্লেখ করেননি। প্রকৃতপক্ষে আঁখিকে দেওয়া জমিটি ১ নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত। যেটা এখনও আমাদের দখলে রয়েছে। আঁখির পরিবার যাতে ওই জমি না পায়, সে জন্য একটি চক্র এ মামলা দায়ের করিয়েছে।  

সিরাজগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) লুৎফন নাহার বাংলানিউজকে বলেন, মামলাটি যখন ফাইলিং হয়, তখন বোঝা যায় না জমিটি কার। পরে আমরা বুঝতে পেরেছি, ওটা ১ নম্বর খাস খতিয়ানের জমি। যেটা ফুটবলার আঁখিকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।  

তিনি বলেন, যে কোনো জমি নিয়ে মামলা হতেই পারে। মামলা দায়েরের পর প্রসিডিওর অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় উভয়পক্ষকে নোটিশ দিতে সংশ্লিষ্ট থানাকে নির্দেশ দেওয়া হয়। এখানেও তেমনটাই ঘটেছে।

এর আগে আঁখিকে একটি জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। সেই জমির মালিকানা দাবি করে শাহজাদপুরের একজন ব্যবসায়ী মামলা দায়ের করেন। পরে বিবদমান জমির বরাদ্দ বাতিল করে ১ নম্বর খাস খতিয়ানের একটি জমি বরাদ্দ দেয় স্থানীয় প্রশাসন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২২
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।