১৮৯ রানের বড় সংগ্রহের পর সেমিফাইনাল নিশ্চিত করতে ইংল্যান্ডকে ১৩১ বা তার কমে আটকে রাখাতে হতো দক্ষিণ আফ্রিকার। তবে সেটি আর হলো না।
৫ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে নিজেদের গ্রুপে সেরা ইংল্যান্ড। রান তাড়া করতে নেমে ৮৭ রানের সময়ই সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয় মরগানের দলের। ৫ ম্যাচে ইংল্যান্ডের সমান ৮ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের রানার্সআপ দল হিসেবে শেষ চারে উঠল অস্ট্রেলিয়া। দক্ষিণ আফ্রিকা (+০.৭৩৯) অস্ট্রেলিয়ার (+১.২১৬) রান রেটে পিছিয়ে থেকে বিদায় নিল টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে।
শনিবার (০৬ নভেম্বর) শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সুপার টুয়েলভের গ্রুপ ওয়ানের ম্যাচে নামে দুদল। বাংলাদেশ সময় রাত আটটায় ম্যাচটি মাঠে গড়ায়। রাসি ভ্যান ডার ডুসেন ও এইডেন মার্করামে ব্যাটে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ২ উইকেট হারিয়ে ১৮৯ রান করেছে প্রোটিয়ারা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৭৯ রানে থামে ইংল্যান্ড।
১৯০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ড ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ২৭ বলে ৩৭ রান করেন মঈন আলী। এছাড়া ডেভিড মালান ৩৩, লিয়াম লিভিংস্টোন ২৮ ও জস বাটলার ২৬ রান করেন। ওপেনার জেসন রয় ২০ রান করে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন।
কাগিসো রাবাদা শেষ ওভারে বোলিংয়ে এসে হ্যাটট্রিক তুলে নেন। যা চলমান বিশ্বকাপে তৃতীয় হ্যাটট্রিকের নজির। এর আগে আয়ারল্যান্ডের কার্টিস ক্যাম্ফার ও শ্রীলঙ্কার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা হ্যাটট্রিক করেন। রাবাদা ক্রিস ওকস, ইয়ান মরগান ও ক্রিস জর্ডানকে তুলে।
প্রোটিয়া বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট পান কাগিসো রাবাদা। স্পিনার তাবরাইজ শামসি ও ডোয়েন প্রিটোরিয়াস ২টি করে উইকেট দখল করেন।
প্রথম থেকেই দারুণ ব্যাট করা রাসি অবশ্য সেঞ্চুরির খুব কাছে গিয়েও তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারের দেখা পাননি। ৯৪ রানে অপরজিত থাকেন তিনি।
টস হেরে এর আগে ব্যাট করতে নেমে অবশ্য শুরুটা ভালো করতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। দলীয় ১৫ রানেই ওপেনার রেজা হেনড্রিক্স বোল্ড হন মঈন আলীর বলে। তবে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে রাসি ভ্যান ডার ডুসেনের সঙ্গে ৫২ বলে ৭১ রানের পার্টনারশিপ গড়েন আরেক ওপেনার কুইন্টন ডি কক।
অবশেষে এই জুটি ভাঙেন আদিল রশিদ। ২৭ বলে ৩৪ রান করা বাঁহাতি ওপেনার ডি কক এই স্পিনারের বলে জেসন রয়কে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। এ সময় ৪টি বাউন্ডারি হাঁকান তিনি।
ডি কক বিদায় নিলেও উইকেটে অবচিল থাকেন রাসি। তিনি এরপর এইডেন মার্করামকে নিয়ে আরও দ্রুত ব্যাট চালান। তৃতীয় উইকেট জুটিতে তোলে মাত্র ৫২ বলে ১০৩ রান। অবশ্য সেঞ্চুরি হাতছাড়া হয় এই ডানহাতির। তিনি শেষ অবধি ৬০ বলে ৫টি চার ও ৬টি ছক্কায় ৯৪ রানে অপরাজিত থাকেন। অপরদিকে দারুণ ব্যাট করা মার্করামও ঝড়ো ব্যাট চালান। তরুণ এই ব্যাটার ২৫ বলে ২টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৫২ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০২১
এমএমএস