‘বাংলাদেশে ইউটিউবার’ কথাটি এলেই মনে পড়ে তরুণ অভিনেতা সালমান মোহাম্মদ মুক্তাদিরের কথা। গত ৯ আগস্ট ছিলো তার জন্মদিন।
বাংলাদেশে প্রথম ইউটিউবার আপনি। এ ক্ষেত্রে আপনার অনুপ্রেরণা কারা?
সালমান : ইউটিউবে আমর যেসবে চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করা আছে তারা সবাই আমার অনুপ্রেরণা। বিশেষ করে বলতে চাই নিগাহিগা, রে উইলিয়াম জনসনের কথা।
জন্মদিনের প্রাক্কালে এক লাখ সাবস্ক্রাইবার হওয়ার বিষয়টি কেমন লেগেছে?
সালমান : দৈব ঘটনা কি-না জানি না, হয়তো ভাগ্যে ছিলো। তাই জন্মদিনের উপহার হিসেবে এক লাখ সাবস্ক্রাইবার হয়েছে আমার। এই মাইলফলক স্পর্শ করাটা বিশাল ব্যাপার, নিজের কাছেই ভালো লাগে ভাবলে। সত্যি বলতে শুরুতে আমার লক্ষ্য ছিলো দশ হাজার। কখনও বুঝিনি এত দ্রুত সংখ্যাটা লাখের ঘরে পৌঁছে যাবে।
ইউটিউবে আপনার চ্যানেলের নাম ‘স্যামন দ্য ব্রাউনফিস’ এবং ‘স্যামন দ্য পুঁটিমাছ’ এই নামগুলো কেনো রাখা?
সালমান : সিডনিতে থাকাকালে শিক্ষকরা আমাকে স্যামন বলে ডাকতেন। কারণ তারা সালমান শব্দটি বলতে পারতেন না! আর আমরা মাছে ভাতে বাঙালি বলে স্যামন মাছের নাম দিয়েছি।
ভিডিওগুলো বানানোর লক্ষ্য কী ছিলো?
সালমান : ভিডিওগুলো বানানোর মূল কারণ ছিলো মানুষের মানসিকতায় পরিবর্তন আনা। আমরা জাতি হিসেবে অনেক আবেগপ্রবণ হলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে শান্ত থাকা উচিত। যেমন আমরা অনেক দ্রুত আগ্রাসী হয়ে যাই। একটা মেয়ে কেনো সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লো, সম্পর্ক কেনো ছিন্ন করলো এসব নিয়ে তাকে অনলাইনে গালমন্দ ও অপমান করা হয়। এসব বিষয়গুলো ঠেকাতে আমরা হাস্যরসের মাধ্যমে এই শিক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করছি- সবারই জীবন আছে, সবাইকে সম্মান করা উচিত।
এ ক্ষেত্রে বাঁধা-বিপত্তি আসে না?
সালমান : আসে। অনেক সময় রাজনৈতিক ও ধর্মীয় এবং কাউকে উৎসর্গকৃত ভিডিও নিয়ে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। ফোনে হুমকিও আসে। আমার ওপর আক্রমণ করা হয়েছে। ২০১৩ সালের শেষ আর ২০১৪ সালের শুরুর দিকে অনেক সমস্যা মোকাবেলা করতে হয়েছে। ধীরে ধীরে পরিচিতি বাড়ার সঙ্গে ঝুঁকিটা কমেছে।
মিউজিক নিয়ে কিছু করছেন?
সালমান : অভিনয় আর ইউটিউবিংয়ের আগে আমার প্রথম চেষ্টা ছিলো মিউজিশিয়ান হওয়া। পরিকল্পনা আছে মিউজিকের একটি প্রোডাকশন হাউজ খোলার।
বর্তমানে কী কী কাজ করছেন?
সালমান : বিজ্ঞাপন এখন খুব একটা করা হয় না, কাজ কমিয়ে দিয়েছি। দুটি ধারাবাহিক চলছে- এনটিভিতে ‘ফোরটি ফোর’ এবং দেশ টিভিতে ‘নাইন অ্যান্ড অ্যা হাফ’।
বাংলাদেশ সময় : ১৬৩২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৫
জেএইচ