মডেল ও অভিনেত্রী হিসেবে খ্যাতি পেয়েছেন কাজী নওশাবা আহমেদ। তার কাজের পরিধি বেড়েছে।
বাংলানিউজ: আপনাকে নিয়ে জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় কবিতা লিখলেন। কবিতাটা পড়ে মনে হয়েছে তার সঙ্গে আপনার ভাইবোনের সম্পর্ক।
নওশাবা: আমিও কবিতাটি পড়েছি। আসলে জয়ন্ত দাদার সঙ্গে যতো কাজ করেছি, সবখানে তিনি আমার বাবা। এই বিচারে তার সঙ্গে আমার সম্পর্কটা বাবা অথবা ভাই মনে হতেই পারে। এর আগেও তিনি আমাকে নিয়ে কবিতা লিখেছিলেন।
বাংলানিউজ: আপনি কবিতা লেখেন?
নওশাবা: আমি যা লিখি তা কবিতা কি-না বলতে পারবো না। তবে লেখালেখি করি, ভালো লাগে।
বাংলানিউজ: ক’দিন আগে স্ট্যাটাস দিয়েছেন, 'জ্ঞান হারিয়ে হুঁশ ফেরার পর এখন লিখছি', ঘটনাটা কী?
নওশাবা: আসলে বেশকিছু দিন ধরে আমি ‘পড়ে না চোখের পলক’ গানটি খুব বেশি গুনগুন করছি। ওইদিনই জয়ন্ত দা আমাকে নিয়ে কবিতা লিখে সেটা ভাইবারে পাঠিয়েছিলেন। কবিতাটা পড়ে আমি খুব খুশি হয়েছিলাম। এমন খুশি হয়েছি যে, আর একটু হলে হয়তো জ্ঞান হারিয়ে ফেলতাম! তাই এমন একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম।
বাংলানিউজ: বাংলানিউজের ফটোসেশনের জন্য তলোয়ার ভাড়া করে নিয়ে এসেছিলেন। তলোয়ার নিয়ে ছবি তোলার কারণ কী?
নওশাবা: ফটোশুট করার সময় তখনকার মানসিকতা অভিব্যক্তিতে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করি। তলোয়ার নিয়ে ছবি তোলার থিম হলো- বিভিন্ন সমস্যা প্রতিরোধ করার প্রত্যয়।
বাংলানিউজ: আপনার হাতে এখন বেশ কয়েকটি ছবি। কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?
নওশাবা: প্রথমেই ‘চন্দ্রবতী কথা’ ছবিটি প্রসঙ্গে বলি। এই ছবির জন্য আমাকে প্রচুর খাটতে হয়েছে। ছবির গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র সোনাই। ১৫৫০ সালের প্রেক্ষাপটে সেই সময়ের নারী সোনাইকে দর্শক আমার মধ্যে দেখবেন। এটা বেশ চ্যালেঞ্জিং মনে হলো আমার কাছে। এই চরিত্রটি সম্পর্কে জানার জন্য একমাত্র অবলম্বন বই। তাই আমাকে প্রচুর পড়াশোনা করতে হয়েছে। সোনাই করতে গিয়ে আমি সীতা, রাধা ও বেহুলা সম্পর্কেও নতুন করে পড়াশোনা করেছি। সব মিলিয়ে শেষ পর্যন্ত কাজটি নিয়ে আমি সন্তুষ্ট। আগে এই চরিত্রগুলো মনে হতো রূপকথার মতো। এখন নিজে সেই চরিত্রে ডুবে গেছি, তাই স্বাভাবিক মনে হয়।
বাংলানিউজ: 'আলগা নোঙর' আর 'প্রতিরুদ্ধ' ছবির কী খবর?
নওশাবা: মুক্তির অপেক্ষায় আছে ওয়াহিদ তারেকের ‘আলগা নোঙর’ চলচ্চিত্রটি। এ ছাড়া ‘প্রতিরুদ্ধ’, ‘ভুবন মাঝি’, ‘ঢাকা অ্যাটাক’ ছবির শুটিং চলছে। সব ছবি নিয়েই আমি আশাবাদী।
বাংলানিউজ: 'ছুঁয়ে দিলে মন'-এ আপনার অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে। নাচ-গানে ভরপুর মশলাদার ছবির প্রস্তাব পেলে করবেন?
নওশাবা: করবো। আমি এখন একটি বাণিজ্যিক ছবিরই শুটিং করছি। ‘প্রতিরূদ্ধ’ নাচে-গানে ভরপুর একটি ছবি। আর আমি নিয়মিত এমন ছবিই করতে চাই। আমি মনে করি, বাণিজ্যিক ছবির জন্য আমি যোগ্য।
বাংলানিউজ: ঈদের কী কী কাজ করলেন?
নওশাবা: আসলে চলচ্চিত্রে ব্যস্ত থাকার কারণে ঈদের কাজ করেছি কম। এবার ঈদে তিনটি টেলিছবিতে দেখা যাবে আমাকে। তার মধ্যে মৃদুল মিঠুর পরিচালনায় ‘নিভৃত নির্জনে’ টেলিছবিটির কথা না বললেই নয়। এতে আমি বুলবুলি নামের প্রতিবন্ধী মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছি।
বাংলানিউজ: ধারাবাহিকের কাজ করছেন?
নওশাবা: ‘মিলার বারান্দা’, ‘কাছাকাছি’, ‘মেঘের কোলে সূর্য হাসে’- এই তিনটি ধারাবাহিক বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে প্রচার হচ্ছে। এর মধ্যে ‘মিলার বারান্দা’র জন্য ব্যাপক প্রশংসা পাচ্ছি।
বাংলানিউজ: বিজ্ঞাপনে কাজ করেননি?
নওশাবা: ছয় মাস আগে ইউরোপের একটি প্রতিষ্ঠানের জন্য বিজ্ঞাপনে কাজ করেছি। সেটি ওইসব দেশের চ্যানেলে প্রচার হচ্ছে। দেশে এখন কোনো বিজ্ঞাপনে কাজ করা হচ্ছে না।
বাংলানিউজ: মঞ্চে সময় দিচ্ছেন?
নওশাবা: আমি আসলে ব্যাকবেঞ্চের ছাত্রী ছিলাম। তাই এতো কাজ একসঙ্গে করতে পারি না। ছবির কারণে অন্য কোনো কিছুতে সময় দেওয়া হচ্ছে না। যে কাজই করি না কেনো, মনোযোগ দিয়ে করি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৩ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১৬
টিএস/এসও/জেএইচ