এ ধরনের প্রেক্ষাগৃহে সায়েন্স ফিকশন, অ্যাকশন, থ্রিলার, অ্যাডভেঞ্চার, ফ্যান্টাসি, হরর প্রভৃতি ধাঁচের ছবি দেখাটা বেশি উপভোগ্য হয়। কিন্তু দেশের সব অঞ্চলের দর্শকরা কবে এমন সুবিধা পাবে?
প্রেক্ষাগৃহ সাধারণত দু’ ধরনের।
যদিও এ ধরনের প্রেক্ষাগৃহ নির্মাণ করা ব্যয়বহুল। এজন্য আগে থেকেই পরিকল্পনা সাজাতে হয়। কারণ মাল্টিপ্লেক্সগুলোর দেয়ালের গঠন সাধারণ সিনেমা হলের মতো হয় না। এর গাঁথুনি হয় আরও মজবুত, যাতে প্রচন্ড শব্দে (ভাইব্রেশন) ভবনের স্থাপত্যের কোনো ক্ষতি না হয়। অন্যদিকে সিনেমা হলের পর্দা থেকে কতোটা দূরে নতুন প্রজেক্টর বসালে ঠিক মতো প্রোজেক্ট করা যাবে, পর্দার কাপড় কেমন হবে বা কাপড়ের পর্দা ব্যবহার করা যাবে কি-না সেসব বিষয়ও জানা থাকতে হয়।
দেশে এখনও অনেক প্রেক্ষাগৃহ টিকে থাকলেও দিন দিন এগুলোর অবস্থা নাজুক (বন্ধ) হয়ে যাচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই এটা চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য ভালো খবর নয়। ভালো ছবি দর্শকের কাছে প্রিয় করে তোলার জন্য চাই উন্নতমানের প্রেক্ষাগৃহ।
গত বছরের সবচেয়ে আলোচিত ছবি ‘আয়নাবাজি’। স্টার সিনেপ্লেক্স বা ব্লকবাস্টার সিনেমাসে ছবিটি যারা দেখেছেন তাদের অভিজ্ঞতা একরকম। অন্য সিনেমা হলে যারা দেখেছেন তাদের অভিজ্ঞতা আরেক রকম। নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌউধুরি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেনও- তার ছবিটি সঠিকভাবে প্রদর্শন সম্ভব হয়েছে শুধু এ দুটি প্রেক্ষাগৃহে। কারণ তিনি ‘আয়নাবাজি’ ডিজিটালি (ডিজিটাল ক্যামেরা ও সাউন্ড রেকর্ডিং) এনকোড করেছেন, তাই সঠিকভাবে ডিকোড করে এটি প্রদর্শনের যন্ত্র শুধু এ দুই প্রেক্ষাগৃহেরই আছে।
ভালো মানের চলচ্চিত্রের সঙ্গে উন্নত সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন সিনেমা হল থাকলে দর্শকরা প্রেক্ষাগৃহে আসার স্পৃহা পায়। এজন্য হলমালিকদের এগিয়ে আসতে হবে। এ সময়ের চাহিদার কথা মাথায় রেখে প্রেক্ষাগৃহ তৈরি করা উচিত তাদের। দিনের শেষে সবকিছুর ওপরে আধুনিক সিনেমা হল।
বাংলাদেশ সময়: ১২২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৬
এসও/জেএইচ