ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শেয়ারবাজার

শেয়ার ধারণ নিয়ে হাইকোর্টের রায় স্থগিত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৩ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৪
শেয়ার ধারণ নিয়ে হাইকোর্টের রায় স্থগিত

ঢাকা: কোম্পানির পরিচালকদের ন্যূনতম ২ শতাংশ শেয়ার ধারণ নিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত করেছেন চেম্বার বিচারপতি।

বৃহস্পতিবার দুপুরে চেম্বার বিচারপতির আদালতে এ বিষয়ে শুনানি হয়।

শুনানি শেষে চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী এই স্থগিতাদেশ দেন।

এর আগে হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ।

আদালতে বিএসইসির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।   হাইকোর্টে আবেদনকারী মোস্তাফিজুর রহমানের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী।

আগামী ২২ মে আপিল বিভাগে এ সংক্রান্ত শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

কোম্পানির  উদ্যোক্তা পরিচালকদের ২ শতাংশ শেয়ার ধারণের বাধ্যবাধকতা দিয়ে বিএসইসির জারি করা প্রজ্ঞাপন অবৈধ ঘোষণা করে বুধবার রায় দেন হাইকোর্ট।

ওই প্রজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে করা রিট আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি এবিএম আলতাফ হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই রায় দেন।

২০১২ সালের ৮ এপ্রিল ন্যাশনাল ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের (এনসিসি) উদ্যোক্তা পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান রিট আবেদনটি করেন।

মোস্তাফিজুর রহমানের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শাহ মোহাম্মদ আহসানুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ রায়।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির পরিচালকদের ন্যূনতম শেয়ার ধারণের বিষয়ে ২০১১ সালের ২২ নভেম্বর একটি আদেশ (প্রজ্ঞাপন) জারি করে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)। প্রজ্ঞাপন পরিচালকদের পৃথকভাবে ন্যূনতম দুই শতাংশ ও সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণের বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়।
 
ওই প্রজ্ঞাপনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেন এনসিসি ব্যাংকের উদ্যোক্তা পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান। এ রিটের প্রেক্ষিতে ২০১২ সালের ১২ ডিসেম্বর হাইকোর্ট রুল জারি করেন।

ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বুধবার ওই রায় দেওয়া হয়।
 
বুধবার আইনজীবী শাহ মোহাম্মদ আহসানুর রহমান বলেন, ওই প্রজ্ঞাপনের ডি’তে বলা হয়েছে, উদ্যোক্তা পরিচালকদের শতকরা দুই শতাংশ শেয়ার থাকতে হবে। আর ই’তে বলা হয়েছে, এরা পরিচালক পদ ছেড়ে দিলে ৫ শতাংশ আছে এমন কেউ পরিচালক হতে পারবেন।
 
তিনি বলেন, আবেদনে আমরা বলেছি, এখানে দুই ধরনের বিধান রয়েছে। এটা বৈপরিত্য সৃষ্টি করে। তাছাড়া যে কোম্পানির ৪০-৪৫ জন শেয়ারহোল্ডার আছেন, তারা কি করবেন। কিভাবে আপনি এতো শেয়ার দেবেন? এ আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত এ বিধানকে অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন।
 
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে ওই কোম্পানির পরিশোধিত মূলধনের ন্যূনতম ৩০ শতাংশ এবং প্রত্যেক পরিচালকের ন্যূনতম ২ শতাংশ শেয়ার থাকতে হবে।
 
প্রজ্ঞাপন জারির ছয় মাসের মধ্যে এ শর্ত পূরণ করতে বলা হয়, যা শেষ হয় ২০১২ সালের ২১ মে।

ন্যাশনাল ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের (এনসিসি) উদ্যোক্তা পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান ছাড়াও ২০১২ সালের ৮ এপ্রিল এনসিসি ব্যাংকের পরিচালক আব্দুল মোমিন এসইসির নির্দেশনাকে চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন। এরপর ৭ মে পপুলার লাইফের পরিচালক আবুল বাশার ও ৮ মে ডেল্টা লাইফের ১১ ও ফনিক্স ফিন্যান্সের ২ পরিচালক আরেকটি রিট করেন। ফনিক্স ফিন্যান্সের ২ পরিচালক পরবর্তীতে রিট প্রত্যাহার করে নিলেও বাকি রিটগুলো খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।    

বাংলাদেশ সময় : ১৩০৭ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৪/আপডেটেড ১৪৪৭ ঘণ্টা

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।