ঢাকা: টানা পঞ্চমদিনের মতো মূল্যসূচকের পতন ঘটেছে শেয়ারবাজারে। এতে গত বছরের ১৩ জুলাইয়ের পর ফের ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ডিএসইএক্স সূচক ৪ হাজার সাড়ে ৩’শ পয়েন্টের নিচে নেমে এসেছে।
গত কয়েকদিনের মতো মঙ্গলবার (০৭ এপ্রিল) সূচকের ঊর্ধ্বমুখীতার মাধ্যমে ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয়। লেনদেন শুরুর প্রথম ৫ মিনিট পর সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে ডিএসই’র ডিএসইএক্স সূচক ৮ পয়েন্ট বাড়লেও পরবর্তীতে তা নিম্নমুখী হতে থাকে। যা দিনের শেষ পর্যন্ত স্থায়ী হয়।
লেনদেনের প্রথম ১০ মিনিটের মাথায় বেলা ১০টা ৪০ মিনিটে সূচক আগের দিনের অবস্থায় ফিরে আসে। এরপর টানা নিন্মমুখীতায় লেনদেন শেষে ডিএসইএক্স সূচক আগের দিনের তুলনায় ৫২ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৩৪৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
তবে সূচক কমলেও মঙ্গলবার লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। এদিন ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৩২৫ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। যা আগের দিনের চেয়ে ২০ কোটি ৬৯ লাখ টাকা বেশি।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ৪৯টি, কমেছে ২৩৬টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড।
বাজার পর্যালোচনা দেখা যায়, ২০১৪ সালের ১৩ জুলাই ডিএসইএক্স সূচক ৪ হাজার ৩৪৪ পয়েন্টে নেমে আসে। এরপর সূচক আর ৪ হাজার ৩৫০ পয়েন্টের নিচে নামেনি।
তবে টানা পতনের কারণে মঙ্গলবার সূচক ফের ৪ হাজার ৩৫০ পয়েন্টের নিচে নেমে এসেছে।
এদিকে, ডিএসই-৩০ সূচক ১৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৬৬৯ পয়েন্টে।
লেনদেনের ভিত্তিতে (টাকায়) ডিএসইর শীর্ষ দশ কোম্পানির তালিকায় রয়েছে- ইউনাইটেড পাওয়ার, ইফাদ অটোস, এসিআই, এমজেএল, গ্রামীণফোন, শাশা ডেনিম, ইউনিক হোটেল, ফার্মা এইড, এসপিসিএল ও স্কয়ার ফার্মা।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার সিএসইতে লেনদেন শেষে সার্বিক সূচক ৮৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৮ হাজার ৯২ পয়েন্টে। সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৩২ কোটি ৫৪ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট।
লেনদেন হওয়া শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৩টি, কমেছে ১৭৭টি ও অপরিবর্তীত রয়েছে ২২টি।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০১৫
এএসএস/জেডএস