ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শেয়ারবাজার

কম সুদে ঋণ পাচ্ছেন ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা

মাহফুজুল ইসলাম, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪২০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৭
কম সুদে ঋণ পাচ্ছেন ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা

ঢাকা: পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে যেসব বিনিয়োগকারী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের আবারো স্বল্প সুদে ঋণ সুবিধা দিচ্ছে সরকার। ২০১০ সালের ক্ষতি পোষাতে সরকার এবার ৯ লাখ ১৭ হাজার ৮২৮ জন ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীকে মাত্র ৬ শতাংশ সুদে ঋণ দেবে। যা ব্যাংকিং সেক্টরের সুদের চেয়ে অনেক কম।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এ বিষয়ে সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, দেশের ব্যাংক সেক্টরে এখন ন্যূনতম ৭ শতাংশ থেকে প্রকার ভেদে ১৪ শতাংশ পর্যন্ত সুদে ঋণ দেওয়া হয়। যার গড় সুদের হার দাঁড়ায় ৯ শতাংশের বেশি। সেখানে সরকার মাত্র ৬ শতাংশ সুদে ৯০০ কোটি টাকা ঋণ সুবিধা দিতে যাচ্ছে। এর ফলে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীরা নতুন করে বিনিয়োগে আগ্রহী হবেন এবং তারা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন।

এ লক্ষ্যে সরকার ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের বিশেষ স্কিমের মেয়াদ আরো ২ বছর বাড়াচ্ছে। ফলে চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে শেষ হতে যাওয়া এই স্কিমটির মেয়াদ ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত দাঁড়াচ্ছে। সরকারের এই পদেক্ষেপ পুঁজিবাজারে জন্য ইতিবাচক বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

এ বিষয়ে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ৬ শতাংশ সুদে বিনিয়োগকারীরা ঋণ সুবিধা পাচ্ছেন- এটা পুঁজিবাজার এবং বিনিয়োগকারীদের জন্য ভালো খবর। এর ফলে বাজারে বিনিয়োগকারীদের সক্ষমতা ও আগ্রহ বাড়বে।

সূত্র জানায়, ৬ শতাংশ সুদের মধ্যে তহবিল পাবে ৪ শতাংশ, আইসিবির সার্ভিস চার্জ হিসেবে পাবে ১ শতাংশ এবং বাকি ১ শতাংশ সুদ পাবে প্রত্যক্ষভাবে বিনিয়োগকারীদের ঋণ প্রদানকারী সংশ্লিষ্ট মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউস। এতে বলা হয়, প্রথম ও দ্বিতীয় কিস্তিতে ঋণ নিয়ে ফেরত দেওয়া ২৫ হাজার বিনিয়োগকারীরাও এই ঋণ সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন।

এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য স্কিমটির মেয়াদ আরো ২ বছর বাড়ানো হচ্ছে। এটা বাজারের জন্য ইতিবাচক।

উল্লেখ্য, ২০১০ ও ২০১১ সালে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য ২০১২ সালে ১১ শতাংশ সুদে ঋণ দেওয়ার জন্য ৯০০ কোটি টাকার একটি তহবিল গঠন করে সরকার। এরপর দুই দফা তহবিলের সময় বাড়ানোর পাশাপাশি ঋণের সুদ হার কমিয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করা হয়। যার মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ৩১ডিসেম্বর।

এই সময়ে ৪৭টি মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজের ২৫ হাজার বিনিয়োগকারী মোট ৬৪২ কোটি টাকার ঋণ সহায়তা নেন। আর তাতে তহবিলে ২৫৮ কোটি টাকা অব্যহৃত ছিলো। ফলে সুদসহ ৯০০ কোটি টাকার তহবিল দাঁড়িয়েছে ৯৯১ কোটি ৪৪ লাখ টাকায়। এই টাকা বিনিয়োগকারীদের দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১০১৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৭
এমএফআই/এসকে/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।