সিঙ্গাপুর: সিঙ্গাপুরে বিভিন্ন ভাষাভাষী শ্রমজীবী প্রবাসীদের রচিত কবিতা নিয়ে ‘শ্রম ও প্রেমের কবিতা উৎসব প্রতিযোগিতা’ শিরোনামে উৎসবের আয়োজন করা হয়।
বিভিন্ন ভাষাভাষী শ্রমজীবী প্রবাসীদের সাহিত্যের মান বিশ্লেষণ করতে প্রথমবারের মতো এ কবিতা উৎসবের আয়োজন করেন সাহিত্যমোদীরা।
রোববার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে লিটারেচার সেন্টার, মাসিক বাংলা পত্রিকা ‘বাংলার কণ্ঠ’ ও সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল লাইব্রেরি এ উৎসবের আয়োজন করে।
পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার নাগরিক শিবাজী দাসের পরিকল্পনা ও পরিচালনায় অনুষ্ঠানে শ্রমজীবী প্রবাসীদের জীবনচিত্র তুলে ধরা হয়। এ বিষয়ে আলোচনা করেন- ‘বাংলার কণ্ঠ’ সম্পাদক ও মানবাধিকার কর্মী ‘প্রবাসবন্ধু’ এ কে এম মোহসীন ও মানবাধিকার কর্মী দেবী ফর দাইস।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ভাষার কবিতা ইংরেজিতে অনুবাদ করে ২৮ জন প্রতিযোগীর মধ্যে নির্বাচিত ১০ জনের কবিতা আবৃত্তি করা হয়।
যাদের কবিতা নির্বাচন করা হয়, তারা হলেন- জাহাঙ্গীর আলম বাবু, মনির আহমদ, মোহর খান, সৈয়দুর রহমান লিটন, মহিউদ্দিন, আরিফুর রহমান খোকন, নুরুল ইসলাম বুলবুল, শরিফ, রাজিব শীল জীবন ও তামিল কবি রাঙ্গারাজন।
সব কটি কবিতা ইংরেজিতে আবৃত্তি করেন কিউএসএ’র কয়েকজন ছাত্রী।
কবি অসিত কুমার বাড়ৈ ও জাহিরুল ইসলাম সৌজন্য কবিতা আবৃত্তি করেন। পরে সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পী মাসুদ পারভেজ অপু ও সোহেল রানা।
বিচারকের দায়িত্বে ছিলেন সিঙ্গাপুরের অন্যতম কবি আলভিং পাং, কিরপাল সিং, গোপিকা জাদেজা, পম্পা ঘোষ ও সাবিনা সুজা।
বিচারক প্যানেল থেকে কিরপাল সিং তার বক্তব্যে কবিদের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং সেরা কবিতা নির্বাচন করা খুব কষ্টসাধ্য কাজ বলে উল্লেখ করেন।
আয়োজনকারীদের উদ্দেশে তারা চীন, মালয়, মায়ানমার, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কান শ্রমজীবী কবিদের নিয়ে বড় পরিসরে অনুষ্ঠান করারও পরামর্শ দেন।
এদিকে, প্রতিযোগিতায় প্রথমস্থান অধিকার করেন জাকির হোসেন খোকন (পকেট টু), দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন রাজিব শীল জীবন (আধো আলো) ও তৃতীয় স্থান অধিকার করেন রাঙ্গারাজন।
বিজয়ী তিনজনের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও বই উপহার দেওয়া হয়। বাকি সাতজনকেও সনদ ও বই উপহার দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন সাফিয়া সুলাইমান ও ড্যানিয়েল।
বাংলাদেশ সময়: ০৯০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৪