সিঙ্গাপুর থেকে: ভোর প্রায় পাঁচটা। আগে হোটেল বুকিং না দেওয়ায় সিঙ্গাপুরের ডেসকার রোডে হোটেল খুঁজে বেড়াচ্ছেন কিছু পর্যটক।
ডেসকার রোডের এক প্রান্ত থেকে ওপর প্রান্ত হেঁটে বেড়ালে অন্তত ১০টি বাংলাদেশি রেস্টুরেন্ট চোখে পড়বে। ঢাকার নামকরা প্রায় সব ক’টি রেস্টুরেন্টের শাখা আছে এই ডেসকার রোডে।
আর এই রেস্টুরেন্টগুলোকে ঘিরে ডেসকার রোডে রয়েছে একটি বাংলাদেশি বাজার। বাজারের সামনে বড় সাইনবোর্ডে স্পস্ট অক্ষরে লেখা, এখানে সব ধরনের বাঙালি সবজি পাওয়া যায়।
কেবল বাঙালি সবজিই নয়, পাওয়া যায় সব ধরনের মাছও। এর মধ্যে রয়েছে রুই, কাতলা, বোয়াল। এমনকি পদ্মার ইলিশ আর ছোট মাছও। বাংলাদেশের মতো এখানেও দরদাম করে চলে কেনাবেচা।
এই বাজারেই মাদারীপুরের ছেলে জুয়েলের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ডেসকার রোডের এই বাজারে মূলত বাংলাদেশি রেস্তোরাঁর মালিকরা কেনাকাটা করতে আসেন।
জুয়েল বলছিলেন, ডেসকার রোড এলাকার ৯০ শতাংশ মানুষই বাংলাদেশি। কাজের চাপের কারণে তারা খাওয়ার বিষয়ে রেস্তোরাঁগুলোর ওপরই নির্ভরশীল। আর সেই বাংলাদেশিদের খাবার যোগান দিতে রেস্তোরাঁগুলোকে স্বভাবতই বাঙালি রেসিপি রাখতে হচ্ছে।
ডেসকার রোডের এসব রেম্তোরাঁয় খেতে এক প্লেট ভাতের দাম পড়বে সিঙ্গাপুরের ১ ডলার, সবজি ২ ডলার, ভর্তা ১ ডলার, মাছ ৪ ডলার, মাংস ৪ ডলার। তবে কেউ যদি ইলিশের স্বাদ নিতে চান, তবে বাড়তি ১ ডলার খরচ করতে হবে। রান্না করা প্রতি পিস ইলিশের দাম পড়বে ৫ ডলার।
ডেসকার রোডের বাসায় বাংলাদেশি শ্রমিকরা প্রতি রুমে চার জন করে থাকেন। এজন্য গড়ে প্রতি শ্রমিককে ২৫০ ডলার দিতে হয়। এসব বাসায় রয়েছে এসির সুবিধাও।
অপর এক বাংলাদেশি সোহেল জানান, ডেসকার রোডে প্রায় ২ হাজার বাংলাদেশি থাকেন। রেস্তোরাঁর পাশাপাশি বাংলাদেশি কার্গো কোম্পানিগুলোর কার্যালয় রয়েছে এই ডেসকার রোডে। সব দেখেশুনে মনে হবে, সিঙ্গাপুরের ডেসকার রোড যেন একখণ্ড বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ সময়: ০৮২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৬
ইউএম/এইচএ/
**সাজসজ্জা চলছে মালয়েশিয়ার পুরাতন ভবনের
**পাসার সেনির বয়স ১২৮!