এশিয়ান জার্নালিজম ফেলোশিপের অংশ হিসেবে ইউনেস্কো স্বীকৃত সিঙ্গাপুরের প্রথম ঐতিহ্য দেখতে গেলেন ১৩ দেশের ১ জন করে সাংবাদিক। বাংলাদেশি হিসেবে সবুজ গাছ আমার অনেকই দেখা।
১৮৫৯ সালে এই বাগান প্রতিষ্ঠা করে সিঙ্গাপুরের এগ্রি হর্টিকালচারাল সোসাইটি। সিঙ্গাপুরের বয়সের চেয়ে এই বাগানের বয়স তিনগুণ বেশি। প্রথম দিকে এই বাগানে শুধু ফুল গাছ, রাস্তা আর কিছু চত্বর থাকলেও এখন এই বাগান এক অনন্য দর্শনীয় স্থান।
সকালে রোদটা একটু বেশি হলেও বাগানের সৌর্ন্দয আমাদের মোহিত করে। এখানে ছেলে বুড়োরা ঘুরে বেড়ায়। তাংলিন কোর, সেন্ট্রাল কোর এবং বুকিত তিমাহ কোর এই তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে বোটানিকাল গার্ডেনকে।
এখানে শুধু বাগানই নয়, বরং গাছের প্রজাতি এবং জ্বীন তত্ত্বের ওপর গবেষণা করা হয়। রয়েছে একটি বৃহৎ আয়তনের গবেষণাগার। যেখানে দেশ বিদেশের জীববিজ্ঞানিরা গবেষণা করেন।
হাঁটতে হাঁটতে আমরা চলে এলাম অর্কিডের বাগানে। এটা যেন এক রঙের দুনিয়া। মানুষকে বিমোহিত করবে সুন্দর সব অর্কিড।
এখানে রয়েছে ১ হাজার প্রজাতির প্রচলিত অর্কিড এবং ২০০ নতুন উদ্ভাবিত জাতের অর্কিড। চলাচলে অক্ষম ব্যক্তিরা যেন ঘুরে বেড়াতে পারেন তার জন্যে হুইল চেয়ারের ব্যবস্থাও রয়েছে।
গোল্ডেন শাওয়ার আর্ক বা বুরকিত হলে গেলে পুরো বোটানিক্যাল গার্ডেনের বার্ড ভিউ পাওয়া যায়।
দুনিয়ার বিখ্যাত ব্যক্তিদের নামে অর্কিড রয়েছে এ বাগানে। এগুলো সবই উদ্ভাবিত জাত। যেমন প্রিন্সেস ডায়নার স্মরণে তার নামেই রয়েছে অর্কিড, বারাক ওবামা, অং সান সুকি, নেলসন মেন্ডেলার নামের অর্কিড সবাইকে আকর্ষণ করে।
বোটানিক্যাল গার্ডেনের লোগোতে ব্যবহার করা হয়েছে লিপস্টিক ট্রি। বর্তমানে বিলুপ্ত প্রায় এই গাছের অল্প কিছু বেঁচে রয়েছে বোটানিক্যাল গার্ডেনে। এটা দেখতে সুপারি গাছের মতো। তবে পাতার খোলের মতো জায়গায় লাল টকটকে লিপস্টিকের রঙ।
সিঙ্গাপুরের প্রেমিক-প্রেমিকাদের পছন্দের স্থান এই বোটানিকাল গার্ডেন। এখানে ছবি তোলার জন্যে বিশেষ বিশেষ জায়গা রয়েছে। বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন করার জন্য এখানে একটি হল রুম রয়েছে। যাদের বিয়ে সম্পন্ন হয় এখানে তারা সত্যিকারের কিছু রোমান্টিক ছবি তোলার সুযোগ পান রঙিন ফুলের মঞ্চে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৭
এমএন/জেডএম