ফ্রেঞ্চ ওপেনের ড্র দেখার পর টেনিস ভক্তরা কিছুটা আঁতকে উঠেছিলেন বটে। ইনজুরি কাটিয়ে লম্বা সময় পর ফ্রেঞ্চ ওপেন দিয়ে টেনিসে ফিরতে যাচ্ছেন রাফায়েল নাদাল।
কিন্তু হলো সেটাই, যেটা অভাবনীয়! শুনতে অবিশ্বাস্য লাগবে, তবে এটাই সত্যি। ফ্রেঞ্চ ওপেনের প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নিয়েছেন ১৪ বারের চ্যাম্পিয়ন নাদাল। শুধু তা-ই নয়, হেরেছেন ৬-৩, ৭-৬ (৭-৫), ৬-৩ গেমের সরাসরি সেটে।
ম্যাচের শুরু থেকেই বড্ড অচেনা ছিলেন নাদাল। জভেরভের সঙ্গে কোনোভাবেই পেরে ওঠতে পারছিলেন না। প্রথম সেটে হেরে যান সহজেই। দ্বিতীয় লড়াইয়ের চেষ্টা করেও ঘুরে দাঁড়াতে পারেননি। প্রথম দুই সেট হারার পরও নাদালের প্রত্যাবর্তনের গল্প অহরহ। কিন্তু এবার হলো না তেমন! ৩৭ বছর বয়সী এই স্প্যানিশ তারকা হারই মেনে নিলেন জভেরভের কাছে।
গ্র্যান্ড স্ল্যাম ক্যারিয়ারে এর আগে কেবল দুবারই প্রথম রাউন্ড থেকে বাদ পড়েছিলেন। কিন্তু সেটা যে ফ্রেঞ্চ ওপেনেও তা কজনই বা ভেবেছিলেন। রোঁলা গাঁরোয় সবমিলিয়ে এটি তার চতুর্থ হার। গত আসরে খেলেননি ইনজুরি ছিল বলে। এরপর উইম্বলডন, ইউএস ওপেন ও অস্ট্রেলিয়ান ওপেনেও খেলতে পারেননি। লম্বা সময় পর ফেরাটা সুখকর হলো না ২২ গ্র্যান্ড স্ল্যামজয়ীর।
তবে কি এটাই শেষবার? হারের পর নাদাল অবশ্য তেমন কিছুই বললেন না। আবার তা উড়িয়েও দিলেন না, 'বলাটা কঠিন, আমি জানি না, এটাই শেষবার কি না। সত্যি বলতে, আমি নিশ্চিত নই। যদি এটাই শেষবার হয়ে থাকে, তাহলে বলব আমি তা উপভোগ করেছি। আজ যে অনুভূতি হচ্ছে তা ভাষায় বর্ণনা করা কঠিন। এ জায়গাটিকে (রোঁলা গাঁরো) আমি সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি। '
'ইনজুরির কারণে গত দুই বছরে খুবই কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। এখানে ফেরার স্বপ্ন নিয়েই সব প্রক্রিয়া পার করেছিলাম আমি। প্রথম রাউন্ডে বিদায় নেওয়াটা আদর্শ নয়। আমি লড়াকু ছিলাম এবং হাতে সুযোগ ছিল, কিন্তু সাশার (জভেরভ) মতো ভালো খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে তা কঠিনই। '
'ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলাটা কঠিন। গত দুই মাসের চেয়ে শরীরের ব্যাপারে এখন ভালো বোধ করছি। হয়তো দুই মাস পর আমি বলতে পারি, যথেষ্ট হয়েছে। তেমন কিছু এখনো বোধ করিনি আমি। আশা করি, আবারও দেখা হবে। কিন্তু নিশ্চিত করে বলতে পারছি না। '
আগামী জুনে ৩৮-এ পা দেবেন নাদাল। লাল দুর্গে তার আবার ফেরাটা হয়তো প্রায় অসম্ভব। কিন্তু রাজার এমন বিদায় কেইবা মনে রাখতে চায়!
বাংলাদেশ সময়: ২২৪৫ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০২৪
এএইচএস