বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের টেকনিক্যাল ডিরেক্টরের দায়িত্ব নেয়ার পথে রয়েছেন পিটার গেরহার্ড। বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক জার্মান কোচ তিনি।
সেই সময় পিটারের মাধ্যমে খেলোয়াড়রা ইউরোপের লিগে খেলার সুযোগ পেয়েছিল। এবার নতুন দায়িত্বের আনুষ্ঠানিকতা সারার আগেই সংবাদ সম্মেলনে এসে জানালেন তার ভাবনা। এবারও বাংলাদেশের হকি খেলোয়াড়দের ইউরোপে খেলার ব্যবস্থা করতে চান বলে জানিয়েছেন তিনি।
ফেডারেশন ভবনে বুধবার সংবাদ সম্মেলনে গেরহার্ড তুলে ধরলেন তার আগামীর পরিকল্পনা। অতীত অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর পাশাপাশি খেলোয়াড়দের জন্য ইউরোপের হকির দুয়ার খুলে দেওয়ার লক্ষ্য তার। পিটারের পরিকল্পনা আগস্ট-সেপ্টেম্বর ও এপ্রিল-জুন এই কয়েক মাস বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা ইউরোপে সময় কাটাবেন। ইতোমধ্যে নাকি ২১ জন খেলোয়াড় সম্পর্কে কয়েকটি ক্লাবের সঙ্গে তার কথাবার্তা চূড়ান্ত।
খেলোয়াড়দের ইউরোপের ব্যয় ও আয়ের বন্টন নিয়ে পিটার বলেন, ‘ঐখানে খেলোয়াড়দের সকল ব্যয় সংশ্লিষ্ট ক্লাবেরই। খেলোয়াড়দের আয়ের কিছু অংশ ফেডারেশন পাবে কি না, সেটা এখনও ভাবা হয়নি। তবে আমি জীবনে কখনও খেলোয়াড়দের কাছ থেকে অর্থ নেইনি। আমার পকেট থেকে খেলোয়াড়দের দিয়েছি, এমনকি আমার বাসাতেও রেখেছি খেলোয়াড়দের। ’
হকি ফেডারেশনের আর্থিক সংকট প্রকট। সামনের মাসে সিঙ্গাপুরে নারী-পুরুষ জুনিয়র দল পাঠাতে খানিকটা অনিশ্চয়তা রয়েছে। এর মধ্যে পিটারকে টেকনিক্যাল ডিরেক্টর নিয়োগ দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এর উত্তরে সাধারণ সম্পাদক সাঈদ বলেন, ‘আমাদের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এরপরও কাজ চলমান রয়েছে। কোনো টুর্নামেন্টে দল পাঠাইনি এমন হয়নি। আপনাদের মাধ্যমে জানাতে চেয়েছি, আমাদের সংকট রয়েছে, যেন কেউ পাশে দাঁড়ায়। এই সংকটের মধ্যেই চলতে হবে এবং এগিয়ে যাওয়ার জন্যই পিটারকে আনা। পিটারের ব্যয় আমরা নিজেরা বা যেভাবেই হোক সংস্থান করব। ’
হকি ফেডারেশন আগামী মাস থেকে পরবর্তী এক বছরের জন্য পিটারকে টেকনিক্যাল ডিরেক্টর করতে চায়। এই সময় পিটার জাতীয় দলের পাশাপাশি তরুণ দলের অনুশীলনও দেখভাল করবেন। এই স্বল্প সময়ে বাংলাদেশের হকি নিয়ে পিটার তার লক্ষ্য সম্পর্কে বলেন, ‘একদিনে কোনো কিছু করা সম্ভব নয়। আমি এখানে আগেও ছিলাম তখন ফেডারেশনে সমস্যা ছিল। এখন তারা আমার প্রস্তাবে রাজি হয়েছে। আমি বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের উন্নত অনুশীলন ও ম্যাচ খেলার সুযোগ করে দেব। এর মাধ্যমে জাতীয় ও তরুণ দল উপকৃত হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ২১১৩ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০২৪
এআর/আরইউ