আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরই পর্দা উঠবে প্যারিস অলিম্পিকের। এবারই প্রথম কোনো অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান স্টেডিয়ামে আয়োজিত হচ্ছে না।
গত আসরে কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে কোনো দর্শক ছাড়াই। তবে মহামারীকে পাশ কাটিয়ে বিশ্বের মানুষ এখন স্বাভাবিকভাবেই জীবনযাপন করছেন তিনি। তাই প্যারিস অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখতে সেন নদীর তীরে হাজির হবেন ৩ লাখেরও বেশি দর্শক। থাকবেন ৮০টি রাষ্ট্রের প্রধান। দর্শক জন্য রাখা হয়েছে ৮০টিরও বেশি বড় পর্দা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কোন শিল্পীরা থাকছেন, সেটা অবশ্য এখন পর্যন্ত গোপন রাখা হয়েছে। তবে গুঞ্জন আছে, মঞ্চ মাতাতে পারেন পপ গায়িকা লেডি গাগা ও সেলিন ডিওন। এছাড়া সেন নদীর তীরঘেঁষা বিল্ডিংগুলোর ছাদে নাচতে দেখা যাবে নৃত্যশিল্পীদের।
আয়োজক কমিটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, এবারের মতো অনুষ্ঠান আগে কখনো দেখা যায়নি। ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভ, নদীর তীর, পানি ও আকাশের সদ্বব্যবহার করে সাহসী ও আনন্দায়ক এক অনুষ্ঠান পুরো বিশ্বকে উপহার দেবে তারা। প্রতিটি নদীতীর কিংবা সেতুতেই থাকছে নাচগানের আয়োজন।
মার্চপাস্টেও থাকবে ভিন্নতা। নদীতে ৬ কিলোমিটারের ভাসমান প্যারেডে প্রায় ৭ হাজার অ্যাথলেটকে বহন করবে প্রায় ৮৫ নৌকা। সবগুলোই নৌকাতেই লাগানো থাকবে ক্যামেরা। যাতে করে ক্লোজ-আপ ভিউ পেতে পারেন দর্শকরা।
অস্তারলিজ ব্রিজ থেকে শুরু করে লুভরে জাদুঘর, পন্ত দে আর্টস ব্রিজ সহ অন্যান্য ঐতিহাসিক স্থাপনা পেরিয়ে আইফেল টাওয়ারের কাছে এসে থামবে অ্যাথলেটদের প্যারেড।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে ঘিরে তেমন কোনো জঙ্গি হামলার আশঙ্কা নেই। তবে পুরো বিশ্ব যখন এক ছাদের নিচে তখন নিরাপত্তার বিষয়টি যেকোনো দেশের জন্যই বড় চ্যালেঞ্জের। তাই অনুষ্ঠানে নিরাপত্তার জন্য নিয়োজিত থাকবেন ৪৫ হাজার পুলিশ। এছাড়া ২২হাজার প্রাইভেট সিকিউরিটি স্টাফ গার্ডও থাকবেন। সেন নদীর তীরে প্রবেশ করতে দর্শক কিংবা স্থানীয়দের দেখাতে হবে কিউআর কোড। প্রতিটি উঁচু ইমারতে নিয়োজিত থাকবে স্নাইপার। অনুষ্ঠান চলার সময় প্যারিসের আকাশ দিয়ে কোনো বিমানই উড়তে পারবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০২৪
এএইচএস