অলিম্পিকে সোনা জেতাকে রীতিমত অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছেন কেলেব ড্রেসেল। রিও ডি জেনেরিও, টোকিওর পর এবার প্যারিস অলিম্পিকেও স্বর্ণের দেখা পেলেন তিনি।
সবমিলিয়ে অলিম্পিকে এটি ড্রেসেলের অষ্টম সোনা এবং রিলেতে পঞ্চম। টানা তিন অলিম্পিকে সোনা জিতেও এর স্বাদটা বরাবরই নতুন লাগে এই আমেরিকান সাঁতারুর কাছে। আমেরিকার পতাকা উড়ছিল ও জাতীয় সঙ্গীত যখন বাজছিল, মঞ্চে তখন হাসিখুশি দেখা যায় তাকে। তবে পাঁচ মাসের ছেলেসহ পরিবারের সঙ্গে যখন আনন্দমুহূর্তটি ভাগাভাগি করে নেন তখন আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন তিনি।
ড্রেসেল বলেন, 'তার (ছেলের) সামনে সোনা জেতাটা সত্যিই স্পেশাল। মঞ্চে না দাঁড়ালে নিজের পতাকাকে উড়তে দেখার অনুভূতি ব্যাখ্য্যা করা যাবে না। প্রথম সোনা জয়ের অনুভূতি এখনো মনে আছে আমার। এই দলের অংশ হওয়াটা আমার কাছে বিশেষকিছু। সত্যিকার অর্থেই এটি এক বিশেষ মুহূর্ত এবং কেউই তাদের কাছ (সতীর্থ) তা কেড়ে নিতে পারবে না। রিলে একটু বেশিই স্পেশাল। এটা আমাকে আমার প্রথম সোনা জয়ের স্মৃতিতে নিয়ে গেছে। এই অনুভূতি কখনো পুরোনো হয় না। '
কেলেব যখন আবেগ ধরে রাখতে পারেননি তখন অনেকটাই নির্বিকার ছিলেন তার সতীর্থ জ্যাক অ্যালেক্সি। অলিম্পিকে এটাই ছিল তার প্রথম সোনা। কিন্তু উচ্ছ্বাসের লেশমাত্র ছিল না।
তিনি বলেন, 'এই রিলের অংশ হতে পেরে, কেলেবকে আমাদের হয়ে ফিনিশ করতে দেখে, সোনা জিতে যুক্তরাষ্ট্র গর্বিত করতে পেরে আমি সত্যিই সম্মানিত। শেষ দিকে পরিবারের সাক্ষাৎ পাওয়াটা ছিল অসাধারণ। তখনই আমি আবেগী হয়ে পড়ি। আমি তাদের কাঁদতে দেখেছি, পুরো যাত্রা তারা দারুণভাবে পাশে ছিল আমার। '
যুক্তরাষ্ট্রের সোনা জয়ের পেছনে মূল কারিগর অবশ্য হান্টার আর্মস্ট্রং। কেলেব পুলে নামার আগে নিজের ধাপের ১০০ মিটার মাত্র ৪৬.৭৫ সেকেন্ডে শেষ করেন তিনি।
আর্মস্ট্রং বলেন, 'এই ছেলেদের জন্য নিজের পুরো শরীর ও আত্মা বিলিয়ে দেব আমি। আমি জানতাম, শেষ লেগের জন্য কেলেবকে আমার সর্বস্বটা দিতে হবে। তাই নিজের কাজটা করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। '
এই ইভেন্টে যুক্তরাষ্ট্র সাঁতার শেষ করে ৩ মিনিট ৯.০৮ সেকেন্ডে। তাদের পেছনে থেকে অস্ট্রেলিয়া রুপা ও ব্রোঞ্জ জেতে ইতালি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০২৪
এএইচএস