প্রায় ২ লাখ জনসংখ্যার দেশ সেন্ট লুসিয়া। এখন তারা গর্ব করে বলতে পারবে- আমাদেরও অলিম্পিক স্বর্ণ আছে।
অলিম্পিক ইতিহাসে সেন্ট লুসিয়ার এটাই প্রথম পদক, সেটাও সোনায় মোড়ানো। ট্র্যাকে ঝড় তুলে ১০.৭২ সেকেন্ডে রেস শেষ করেন আলফ্রেড। যা জাতীয় রেকর্ডও বটে। ১০.৮৭ সেকেন্ড সময় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের শা'কারি রিচার্ডসন রুপা ও ১০.৯২ সেকেন্ড নিয়ে ব্রোঞ্জ জিতেছেন স্বদেশি মেলিসা জেফারসন।
অথচ রেস শুরুর আগে অনেকেই সোনার পদক দেখছিলেন রিচার্ডসনের গলায়। আলফ্রেড এসে এভাবে চমকে দেবেন তা হয়তো কেউ ভাবেননি। অবশ্য সেমিফাইনালে রিচার্ডসনকে হারিয়েই প্রথম হন তিনি। ফাইনালে এসেও নিজের দাপট ধরে রাখেন ২৩ বছর বয়সী এই অ্যাথলেট।
রেস শেষ হওয়ার পর বাকি সবার মতো আলফ্রেডকেও চেপে বসে অবিশ্বাসের মোহ। সোনা জয়ের পর হয়তো কাস্ত্রিসের লিওন কমপ্রেহেনসিভ স্কুলের সেই লাইব্রেরিয়ানকে ধন্যবাদ দিতে চাইবেন তিনি। ছয়-সাত বছর বয়সে রেসে ছেলেদেরই হারিয়ে দিতেন এই অ্যাথলেট। তার অপার সম্ভাবনা চোখে পড়ে সেই লাইব্রেরিয়ানের। যদিও আলফ্রেডের উঠে আসার পথ অতটা মসৃণ ছিল না। বাবা মারা যাওয়ার পর ১২ বছর বয়সে খেলাই ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পরে তাকে ফেরাতে রাজি করানো হয়।
সেদিন ফিরেছিলেন বলেই আলফ্রেড আজ অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন!
এদিকে ৪*৪০০মিটার রিলেতে চমক দেখিয়েছে নেদারল্যান্ডস। হিটে বিশ্বরেকর্ডের জন্ম দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলে সোনা জেতে তারা। ফিনিশিং লাইন স্পর্শ করে ৩ মিনিট ৭.৪৩ সেকেন্ডে। ব্রোঞ্জ জিতেছে গ্রেট ব্রিটেন।
বাংলাদেশ সময়: ০১৪১ ঘণ্টা, আগস্ট ৪, ২০২৪
এএইচএস