সবার নজর তখন নোয়াহ লাইলসের দিকে। ১০০ মিটার স্প্রিন্টে দ্রুততম মানব হওয়ায় অনেকেই ভেবেছিলেন ২০০ মিটারেও দাপট দেখাবেন তিনি।
স্তাদে দে ফ্রান্সের ট্র্যাকে স্বর্ণপদক পেতে ১৯.৪৬ সেকেন্ড সময়ে ২০০ মিটার দৌড় শেষ করেন তেবোগো, যা আফ্রিকান রেকর্ড। বাকি দুটি পদক যায় যুক্তরাষ্ট্রের ঘরে। কেনেথ বেডনারেক ১৯.৬২ সেকেন্ড সময় নিয়ে রূপা ও ১৯.৭০ সেকেন্ড টাইমিংয়ে ব্রোঞ্জের দখল নেন লাইলস। যদিও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তিনি, তাই রেস শেষে হুইলচেয়ারে করে ট্র্যাক ছেড়ে যান।
রেসের শেষ দিকে তেবোগোর বুক চাপড়ানোর দৃশ্য কিংবদন্তি অ্যাথলেট উসাইন বোল্টকে মনে করিয়ে দেয়। অবশ্য বোল্টকে আদর্শ মেনেই ট্র্যাকে পা রাখেন তেবোগো। দুই মাস আগে মাকে হারানোর ধাক্কা কাটিয়ে উঠে অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা তার কাছে এখনো বাস্তব মনে হচ্ছে না।
২১ বছর বয়সী এই অ্যাথলেট বলেন, 'আমি অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন। এটা এমন কিছু যা আমি কখনো আমার জীবনে দেখিনি, এমনকি স্বপ্নেও দেখিনি। অসাধারণ এক মুহূর্ত। গতকাল ফাইনালে যাওয়ার পর কোচ আমাকে বললেন, এখন এটা আমার রেস। তখন থেকেই আমার ভেতরে কিছু একটা কাজ করছিল। জানতাম যে বন্দুক চললে কেনি এগিয়ে থাকবে। তাই নিশ্চিত করেছি, তাকে যেন পেছনে ফেলতে পারি। আমার মধ্যে টপ এন্ড স্পিড আছে, যার ফলে কোনো ক্লান্তি ছাড়াই আমি রেস শেষ করতে পারি। তাই আমি সেটাই করেছি এবং যখন দেখলাম কেনি পেছনে পড়ে গেল আমি জানতাম নোয়াহ আমাদের চেয়ে অনেক দূরে আছে, এর মানে আমিই অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন। '
বাংলাদেশ সময়: ০০৫১ ঘণ্টা, আগস্ট ৯, ২০২৪
এএইচএস