ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট পতন হয় আওয়ামী লীগ সরকারের। এরপর অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্ব পেয়েছেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
দেশের খেলাধুলাকে আরও একধাপ এগিয়ে নিতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানান আসিফ। দায়িত্ব নেওয়ার ১০ দিনের মাথায় প্রথম পরিকল্পনার ঘোষণা দিলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা। আসিফ বলেন, ‘বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে এক যুগান্তকারী সিদ্ধান্তের দ্বারপ্রান্তে আছি আমরা। যা এই দেশে প্রথম। খেলোয়াড়, কোচ এবং ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গে জড়িত সকলের জন্য তা হবে এক বিশেষায়িত এক স্থান। নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার উপলক্ষ্য এবং লক্ষ্য অর্জনের মাধ্যম। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ক্রীড়াবিদদের হাইপারফরম্যান্স, ক্রীড়ায় সামগ্রিক লক্ষ্য অর্জন, ক্রীড়াবিদদের মানসিক ও শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি, ক্রীড়া কৌশল ও নেতৃত্বগুণের মান উন্নয়ন তথা সামগ্রিক উন্নয়নের মাধ্যমে জাতীয় গৌরব অর্জনের লক্ষ্যে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘সেন্টার অব এক্সিলেন্স’ স্লোগানে বাংলাদেশের প্রথমবারের মতো নির্মিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ স্পোর্টস ইন্সটিটিউট। ’
এই স্পোর্টস ইনস্টিটিউট ক্রীড়াবিদ তৈরির চেয়ে তাদের মানোন্নয়নের কাজ বেশি করবে। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয় করে ক্রীড়াবিদদের মান উন্নয়ন করা হবে। আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা করা হবে। আসিফ বলেন, ‘বাংলাদেশের ক্রীড়া ক্ষেত্রে দক্ষ ক্রীড়াবিদ তৈরি এবং আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ও উচ্চ ফলাফল অর্জনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ স্পোর্টস ইন্সটিটিউট জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের খ্যাতনামা স্পোর্টস প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কার্যকর সমন্বয়ের মাধ্যমে বিশেষায়িত স্পোর্টস সেবা ও অবকাঠামোগত সুযোগ সুবিধা প্রদান করবে। ’
উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে হবে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের এই ইন্সটিটিউট। এ বিষয়ে আসিফ মাহমুদের ব্যাখ্যা, ‘ইংল্যান্ড, আমেরিকা, ফ্রান্স ও চীনসহ উন্নত রাষ্ট্র স্পোর্টস ও সায়েন্সের মেলবন্ধনে যে ফলাফল ও সাফল্য তারা অর্জন করেছে তা দেশের মাটিতেও নিশ্চিত করাই হবে আমাদের এই ইন্সটিটিউটের অন্যতম লক্ষ্য। বাংলাদেশ স্পোর্টস ইন্সটিটিউটের মিশন ও ভিশন বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সম্ভাব্য অন্তর্ভুক্তিযোগ্য সেবাসমূহের মধ্যে রয়েছে- খেলোয়াড় ও অ্যাথলেটদের পারফরম্যান্স উন্নয়নে স্পোর্টস বায়োমেকানিক ইউনিট, স্পোর্টস সাইকোলোজিক্যাল ইউনিট, পারফরম্যান্স নিউট্রিশন ইউনিট, স্পোর্টস লিডারশিপ ইউনিটসহ স্পোর্টস ইনোভেশন ইউনিট। হাই ইন্টেনসিটিভ গেমের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স ও টিম পারফরম্যন্স উন্নয়নে স্পোর্টস পারফরম্যান্স ডাটা ইউনিট, স্পোর্টস মেডিসিন ইউনিট, হাই পারফরম্যান্স কেয়ার ইউনিট। ফিজিক্যাল কন্ডিশনাল ইউনিট, স্পোর্টস ফিজিওথেরাপি ইউনিট এবং টিস্যু থেরাপি ইউনিট। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০২৪
এআর/এএইচএস