মাদ্রিদ: প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ ফাইনালে উঠেছে স্পেন। আনন্দে ভাসছে পুরো জাতি।
খেলার ৭৩ মিনিটে কার্লেস পুয়োল যখন হেডে গোল করেন স্পেনের বেলেরিক দ্বীপের ঐতিহ্যবাহী জার্মান অবকাশ কেন্দ্র প্লায়া ডি পালমাতে তখন ধ্বনিত হয় ‘নো!’ শব্দে। কারণ দ্বীপটির বিস্তৃত পার্কে বড় পর্দায় খেলা দেখছিলেন প্রায় সাত হাজার জার্মান।
‘‘আমরা স্পেনের কাছে ২০০৮ এর ইউরো ফাইনালে হেরেছি। এখন বিশ্বকাপেও হেরে গেলাম। দু’টি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে হার মেনে নেওয়া যায় না। ’’ অভিযোগের সুরেই বলেন ১৮ বছরের তরুণী জুডিথ। তার বন্ধু পিয়েরে বলেছেন,‘‘যদি মুলার খেলতে পারতো (কার্ড সমস্যায় একম্যাচ নিষিদ্ধ) তাহলে আমাদের হারতে হতো না। ’’
ফ্রাঙ্কফুর্ট থেকে আগত ম্যাথিয়াস মনে করেন স্পেন জার্মানি থেকে অনেক ভালো খেলেছে। তার দৃষ্টিতে,‘‘প্রথম ৩০ মিনিট বল যে কোথায় ছিল জার্মানি সেটাই বুঝতে পারেনি। মনে হয়েছে স্পেন যেন একজন বেশি নিয়ে খেলেছে। তবে পরের বিশ্বকাপে (ব্রাজিলে) ফিরে আসবো আমরা। ”
বুধবার স্পেন ও জার্মানির সেমিফাইনাল ম্যাচটি দেখার জন্য সেখানকার বার ও রেস্টুরেন্টগুলো ছিল দর্শকে ঠাসা। পর্যটকরা জার্মান পতাকার তিনটি রং লাল, হলুদ ও কালোর সঙ্গে মিলিয়ে শার্ট, টুপী ও মালা পরে এসেছিলেন। দ্বীপের কিছু কিছু অংশে অবশ্য স্পেনের লাল-সোনালী পতাকাও উড়েছে।
অন্যদিকে স্প্যানিশরা খেলা দেখতে জড়ো হয়েছিলেন মায়োর্কার প্রধান সড়ক দ্বীপে। সেবাস্তিয়ান নামের এক স্প্যানিশ বলেন,‘‘পুলিশ আমাদের মেগা পার্কে ঢুকতে দেয়নি। কারণ তারা চায়নি কোনো সমস্যার সৃষ্টি হোক। ’’
সস্তায় সূর্যস্নান উপভোগের জন্য পালমা সৈকতে প্রতিবছর প্রায় ৪০ লাখ জার্মান পর্যটকের সমাগম ঘটে। স্থানীয় পর্যটন কর্তৃপক্ষের হিসেবে শুধু গত মে মাসেই এসেছিল প্রায় সাড়ে চার লাখ। স্থায়ীভাবেও সেখানে বসবাস করেন অনেকে। জার্মানদের কাছে প্রিয় হওয়ার সুবাদে ভূমধ্যসাগরীয় দ্বীপটি ‘মায়োর্কা’ নামেও পরিচিতি পেয়েছে। যার অর্থ ‘জার্মানির ১৭তম ভূমি’।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪২ ঘন্টা, জুলাই ০৮, ২০১০