ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

খেলা

নেদারল্যান্ডসের দুঃখ ঘোচানোর ফাইনাল

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২১২ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০১০
নেদারল্যান্ডসের দুঃখ ঘোচানোর ফাইনাল

ঢাকা: প্রতিযোগিতার মঞ্চে দাঁড়ালে এমনিতেই একটু ভয় লাগে। সেটা যদি হয় শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ, তবে ভয়টা বেড়ে যায়।

স্পেন আর নেদারল্যান্ডসের খেলোয়াড়দের নিশ্চয় ভয় হচ্ছে? হবেই তো! এই দু’দলের কারো শোকেসেই যে, বিশ্বকাপ ট্রফি নেই। এবার একটি দলের আশা পূরণ হবে। নিরাশ হবে অন্যদল। এমন পরিস্থিতিতে কার না ভয় হয়।

ভয়কে জয় করতেই রোববার জোহানেসবার্গ সকার সিটি স্টেডিয়ামের ফাইনালে মুখোমুখি হবে ইউরোপের দুই ফুটবল শক্তি স্পেন ও নেদারল্যান্ডস। উভয়ের লক্ষ্য অভিন্ন। ফিফার গড়ে দেওয়া বিশ্বকাপ শিরোপা উঁচুতে তুলে ধরা।

ফাইনাল জয়ের পাল্লা ভারি স্পেনের দিকে। নেদারল্যান্ডস কোচ বার্ট ফন মারউইক, ইয়োহান ক্রুইফ, জোয়াকিম লো সবাই বলছে স্পেন ফেভারিট। বোবা প্রাণী অক্টোপাসটিও স্পেনের পক্ষ নিয়েছে। প্রত্যেকেরই বিশ্বাস প্রথমবার ফাইনাল খেলতে নেমে বাজিমাত করে দেবে লা রোজারা।

স্পেনের কোচ এবং খেলোয়াড়দের মধ্যে অবশ্য এতটা মাতামাতি নেই। ময়দানের যোদ্ধা তারা। বিপ্লব ঘটাবেন খেলার মাঠে। সেমিফাইনাল জয়ের পরই কোচ দেল বস্ক বলেছিলেন,“আমরা আনন্দ করবো, তবে লাগাম ছাড়া নয়। কারণ আরো একটি ম্যাচ বাকি আছে। ” এথেকে কারোই বোঝার বাকি থাকে না স্পেনের গন্তব্য কোথায়। কখন হাসবেন দেল বস্ক।

এই মুহূর্তে বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ের সেরা দল জার্মানিকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে তারা। খেলেছে ছকে বাঁধা ফুটবল। ঠিক যেন শিল্পীর তুলিতে আঁকা একদল ফুটবল সৈনিক তাদের জাদু দেখাচ্ছিলেন। কম্পিউটার গেমে যেমন পরিচ্ছন্ন খেলা হয় জার্মানির বিপক্ষে সেমিফাইনালে তেমনই খেলেছে লা রোজারা।

রক্ষণ থেকে আক্রমণভাগ কোথাও দুর্বলতা চোখে পড়েনি। বরং তাদের রক্ষণ দুর্গ ভেদ করা মোটেই সহজ ছিলো না। ফাইনালেও তার ব্যতিক্রম হওয়ার কথা নয়। কার্লেস পুয়োলের নেতৃত্বে স্পেনের ডিফেন্ডাররা দারুণ কার্যকর। ডাচদের গুরুত্বপূর্ণ দুই খেলোয়াড় আরিয়ান রোবেন এবং ওয়েসলি স্নাইডারকে অকার্যকর করতে প্রয়োজনীয় সবকিছুই করবে দেল বস্ক বাহিনী।

ডাচ কোচের কাছে থেকেও সমীহ পাচ্ছে স্পেন। তবে ভয় থেকে নয়। বার্ট ফন মারউইক বলেন,“আমাদের বিশ্বকাপ জয়ের অভিজ্ঞতা নেই। স্পেনেরও নেই। আমরা তাদেরকে সম্মান করি তবে ভয় পাই না। ”

একটি লাইনেই ওলন্দাজ কোচ বুঝিয়ে দিয়েছেন প্রতিপক্ষ হিসেবে তারা মোটেও সহজ নয়। বিশ্বকাপ জিততেই দক্ষিণ আফ্রিকায় এসেছে তাঁর দল। বলেন,“র‌্যাঙ্কিংয়ে আমরা তৃতীয়। ব্রাজিলকে হারিয়েছি। অবশ্যই আমরা বিশ্বকাপ জিততে পারি। ”

কমলা বাহিনীর পেছন ফিরে দেখার অবকাশ নেই। যদিও ১৯৭৪ এবং ১৯৭৮ এ পর পর দুই বিশ্বকাপের ফাইনালিস্ট তারা। দুঃখ কেবল শিরোপা জেতা হয়নি। এবার হেরে যাওয়া মানে অভিশপ্ত হয়ে ওঠা। বর্তমান প্রজন্মের খেলোয়াড়রা নিশ্চয়ই চাইবেন না ইয়োহান ক্রুইফদের ভাগ্য বরণ করে নিতে। অতএব হিসাব পরিষ্কার যে কোন মূল্যে ফাইনাল জিততে চাইবে নেদারল্যান্ডস।

সেটি হলে ’৭০ এর ব্রাজিলের রেকর্ড ছুঁয়ে বিশ্বকাপে প্রথম শিরোপা ঘরে তুলবে নেদারল্যান্ডস। অর্থাৎ অপরাজিত দল হিসেবে চ্যাম্পিয়ন হবে তারা।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৮ ঘন্টা, জুলাই ১০, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।