ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

খেলা

সাঁতারে বিকেএসপির শ্রেষ্ঠত্ব

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১০
সাঁতারে বিকেএসপির শ্রেষ্ঠত্ব

ঢাকা: বাংলাদেশ ক্রীড়াশিক্ষা প্রতিষ্ঠান-বিকেএসপির আধিপত্যের মধ্য দিয়ে শেষ হলো জাতীয় বয়সভিত্তিক সাঁতার প্রতিযোগিতা।

৪৫টি স্বর্ণ, ৫০টি রৌপ্য ও ২৫টি ব্রোঞ্জ পদক নিয়ে দলগত শীর্ষ স্থান পেয়েছে তারা।

সমান সংখ্যক স্বর্ণ পেলেও রৌপ্য এবং ব্রোঞ্জ পদকে পিছিয়ে থাকায় দ্বিতীয় হয়েছে বাংলাদেশ আনসার। আধাসামরিক বাহিনীর পদকের মধ্যে ৪৫টি স্বর্ণ, ২৫টি রৌপ্য এবং ২১টি ব্রোঞ্জ রয়েছে।

তৃতীয় স্থানে আছে অগ্রযাত্রা সুইমিং কাব। তাদের সংগ্রহ চারটি স্বর্ণ, দুটি রৌপ্য ও একটি ব্রোঞ্জ পদক। এছাড়া বগুড়া সুইমিং সেণ্টার, শিলাইদহ সুইমিং কাব ও রাজশাহী জেলা ক্রীড়া সংস্থা, আলমগীর সুইমিং কাব ও লালনশাহ সুইমিং কাব একটি করে স্বর্ণ পদক জিতেছে।

চতুর্থ স্থানে থাকা বগুড়া সুইমিং সেন্টার স্বর্ণ ছাড়াও সাতটি রৌপ্য এবং ১২টি ব্রোঞ্জ পদক জিতেছে। পঞ্চম স্থান পাওয়া আলমগীর সুইমিং কাব রৌপ্য পেয়েছে ৬টি আর ব্রোঞ্জ ১৩টি।

মেয়েদের বিভাগে সেরা সাঁতারুর পুরস্কার জেতেন নাজমা খাতুন। ৭টি নতুন রেকর্ডসহ মোট ৯টি স্বর্ণ পদক জেতেন তিনি। ছেলেদের বিভাগে একই দলের জুয়েল আহমেদ ১০টি স্বর্ণ জিতে প্রথম স্থান পান। যার মধ্যে ৭টিতে নতুন রেকর্ড হয়েছে।

সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে সিঙ্গাপুর যুব অলিম্পিক গেমসে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন কুষ্টিয়ার ছেলে জুয়েল আহমেদ। এরই মধ্যে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের কাছে তার নামও পাঠিয়ে দিয়েছে সাঁতার ফেডারেশন। আমলা সদরপুর বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র জুয়েল সাঁতারেই নিজের ভবিষ্যত গড়তে চান।

প্রতিক্রিয়ার বলছিলেন,“খুবই ভাল লাগছে। যদিও ভাবিনি এতটা সাফল্য পাবো। আমার চেষ্টা থাকবে ভবিষ্যতে একজন ভালো সুইমার হওয়া। ”

জাতীয় দলের অনেক সাঁতারুই উঠে এসেছেন কুষ্টিয়ার আমলা থেকে। তাদের উত্তরসূরি হিসেবে জাতীয় বয়সভিত্তিক সাঁতারে নিজেকে মেলে ধরলেন জুয়েল। পাড়ার বড় ভাই রবিউল ইসলামের উৎসাহে সাঁতার শেখেন গ্রামের পুকুরে। সেখান থেকে মিরপুর জাতীয় সুইমিং কমপ্লেক্সের প্রতিযোগিতায়। ভাগ্য সহায় থাকলে আগামী মাসেই অংশ নেবেন সিঙ্গাপুরের প্রথম যুব অলিম্পিকে।

নাজমা খাতুনও কুষ্টিয়ার মেয়ে। জুয়েল আহমেদের প্রতিবেশী নাজমা নিজের সাফল্য নিয়ে বলছিলেন,“আমি সাঁতারে থাকতে চাই। অন্যরা ঝরে পড়ে। আমি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই সাঁতার পুলে। ”
    
বিকেএসপির আরিফুল ইসলামও জিতেছেন ৯টি স্বর্ণ পদক। একই দলের আলাউদ্দিন তিতাস পেয়েছেন ৭টি স্বর্ণ। এছাড়া আনসারের মুসলিমা খাতুন ৬টি স্বর্ণ জেতেন।

পাঁচটি করে স্বর্ণ পান বিকেএসপির শিখা খাতুন ও আনসারের রাসেল আহমেদ। চারটি করে পান বিকেএসপির খাদিজা খাতুন, আল আমিন ও অগ্রযাত্রা সুইমিং কাবের বিথি আক্তার।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘন্টা, জুলাই ১৭, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।