ঢাকা: দেশের স্বনামধন্য ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিকস, অটোমোবাইলস, হোম অ্যাপ্লায়েন্স ও টেলিকমিউনিকেশন পণ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ‘ওয়ালটন’ এর পৃষ্ঠপোষকতায় শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) থেকে পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে শুরু হয়েছে ‘ওয়ালটন প্রথম বিচ টেনিস টুর্নামেন্ট-২০১৬। ’ বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশনের ব্যবস্থাপনায় এই টুর্নামেন্ট চলবে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
শনিবার সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন গ্রুপের স্পোর্টস এন্ড ওয়েলফেয়ার বিভাগের প্রধান ও সিনিয়র এডিশনাল ডিরেক্টর এফ.এম. ইকবাল বিন আনোয়ার (ডন)। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) মো. ইসমাইল নাসের ও সহকারী পুলিশ সুপার মো. রায়হান কাজেমী (ট্যুরিস্ট পুলিশ, কক্সবাজার জোন)। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশনের সদস্য লুৎফর রহমান ছান্টু, বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশনের কাউন্সিলর দোলোয়ার হোসেন ও কক্সবাজার জেলা ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হারুন-অর-রশিদ।
ওয়ালটন গ্রুপের সিনিয়র অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর এফ এম ইকবাল বিন আনোয়ার (ডন) জানান, ‘ওয়ালটনের পৃষ্ঠপোষকতায় এর আগে প্রথম বিচ কাবাডি, প্রথম বিচ ভলিবল, প্রথম বিচ বডিবিল্ডিংসহ বেশ কয়েকটি টুর্নামেন্ট প্রথমবারের মতো পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবারও ওয়ালটন গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিচ টেনিস টুর্নামেন্ট। ২০১৬ সালকে সরকার পর্যটন বর্ষ হিসেবে ঘোষণা করেছে। আমরা ওয়ালটন গ্রুপ কক্সবাজারে নানা টুর্নামেন্ট আয়োজনের মধ্য দিয়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি কক্সবাজারকে প্রমোট করতে চাই। প্রমোট করতে চাই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর আমাদের প্রিয় বাংলাদেশকে। ’
বিজয় দিবস টেনিস টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলা ৮ জন মেয়ে ও ৮ জন ছেলেকে নিয়ে সমুদ্র সৈকতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই টুর্নামেন্ট।
ওয়ালটন প্রথম বিচ টেনিস টুর্নামেন্টে পুরুষ এককে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন শ্রী অমল রায়, আনোয়ার হোসেন, রঞ্জন রাম, দীপু লাল, বিপ্লব রাম, মামুন বেপারী, আখতার হোসেন ও মুনির হোসেন। আর মহিলা এককে খেলছেন আফসানা ইসলাম প্রীতি, শাহ সাফিনা লাক্সমি, আয়েশা সুলতানা, রেবেকা সুলতানা, পপি আক্তার, শ্রাবনী বিশ্বাস জুই, ফাবিহা লামিসা সূচনা ও ইতি আক্তার।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬
এমআর